চরফ্যাশন অফিস, ভোলা বানী ॥
চরফ্যাশনের আব্দুল্লাহপুর ৫নম্বর ওয়ার্ডের মালদ্বীপ প্রবাসী আবুল কালাম ফরাজী (দাই)’র বাড়ি থেকে বিপুল পরিমান চোরাই কেওড়া কাঠ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বন বিভাগের বাসির দোন বিটের কর্মকর্তারা এসব কাঠ উদ্ধার করে স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় স্বমিল ব্যবসায়ী সোহেল সিকদারের হেফাজতে রেখেছেন। বাসির দোন বিট কর্মকর্তা মো.মাসুদ রায়হান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সুত্র জানায়, আবুল কালাম মালদ্বীপ প্রবাসী। তার স্ত্রী পিয়ারা বেগম পরিবার পরিজন নিয়ে কয়েক বছর যাবত চর হাসিনায় বন বিভাগের জায়গা দখল করে বসবাস করে আসছে। এই সুযোগে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তার ভাই রমিজ উদ্দিন এবং প্রতিবেশী বেলায়েত হোসেন তোতা নামের জনৈক ব্যাক্তির মাধ্যমে বনের কেওড়া গাছ কেটে তা বিক্রি করে আসছিলো। বুধবার সকালে চর হাসিনা থেকে প্রায় ৬০মণ কেওড়া কাঠ কেটে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে তার আব্দুল্লাহপুরের বাড়িতে নিয়ে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাসির দোন বিট কর্মকর্তা মো. মাসুদ রায়হান বৃহস্পতিবার সকালে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাড়ির পুকুর, আশ পাশের ডোবা এবং উঠান থেকে বিপুল পরিমান চোরাই কেওড়া কাঠ উদ্ধার করে।
প্রবাসীর স্ত্রী পিয়ারা বেগম সংবাদকর্মীদের বলেন,আমি চরহাসিনায় জমি বন্দোবস্ত নিয়ে বসবাস করে আসছি। সেই সুবাধে প্রতি বছর বাসির দোন বিটের কর্মকর্তাদের দশ হাজার টাকা করে দিয়ে আমরা জ¦ালানী কাঠ কিনে থাকি। সেই কাঠ আমি আমার আব্দুল্লাহপুরের বাড়িতে নিয়ে এসেছি। কোন কর্মকর্তাকে টাকা দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান পিয়ারা।
পিয়ারার ভাই রমিজ উদ্দিন এবং প্রতিবেশী বেলায়েত হোসেন তোতা বনের কেওড়া গাছ কেটে তা বিক্রির সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বিকার করেছেন।
বাসির দোন বিট কর্মকর্তা মো.মাসুদ রায়হান বলেন, আমরা খবর পেয়ে আব্দুল্লাহপুর ৫নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালাম (দাই)’র বাড়ি থেকে বনের চোরাইকৃত প্রায় ৬০মন কেওড়া কাঠ উদ্ধার করেছি। আমাদের উপস্থিতিটের পেয়ে অভিযুক্ত পিয়ারাসহ পরিবারের অন্যরা পালিয়ে গেছে। তবে প্রতি বছর জ¦ালানী কাঠের জন্য চরে বসবাসকারীদের কাছ থেকে দশ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, আমি একমাস আগে এখানে যোগদান করেছি। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা । বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।
উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় চোরাই কাঠ গুলো উদ্ধার করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০০:৫৯ ৪৭৫ বার পঠিত |