ভোলাবাণী।।চরফ্যাশন প্রতিনিধি।। চরফ্যাশন উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয় বাঙ্গি ও রসালো ফল তরমুজ। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফল দুটির বাম্পার ফলন হয়েছে। আর এই তরমুজ যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। বাম্পার ফলনে চাষিরাও রয়েছেন খোশমেজাজে।
খেত থেকেও পাকা তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। আগাম তরমুজে বেশি মুনাফার আশায় পাইকাররাও আসতে শুরু করেছেন চাষিদের দোর গোড়ায়। আবার অনেক চাষি পুরো খেত অধিক মুনাফায় আগাম বিক্রি করে দিচ্ছেন। এবার চাষিদের মূলধনসহ অধিক মুনাফা হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। একাধিক চাষি বলেন, গত বছর তরমুজ চাষিরা মূলধন হারিয়ে ঋণগ্রস্থ হলেও এবার তা পুশিয়ে নেওয়া যাবে।
সরেজমিন উপজেলার মুজিবনগর, নজরুলনগর, কলমী, নীলকমল, নুরাবাদ, আহমদপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে প্রায় ১১ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও বাঙ্গির আবাদ করা হয়েছে।
চরফ্যাশনের আহম্মদপুর গ্রামের তরমুজ চাষি আলাউদ্দিন বলেন, এবার ২ কাটি জমিতে তরমুজ চাষ করে মোট বিক্রি হয়েছে ৮ লাখ টাকা। আগাম তরমুজ একটু চড়া মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে হাট-বাজারগুলোতে। বাজার অনুযায়ী প্রতিটি তরমুজ ১৫০ থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি পিচ বাঙ্গি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
আড়তদার জামাল উদ্দিন বলেন, গত বছর লোকসান হলেও এ বছর অধিক মুনাফা হবে তরমুজে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুকুজ্জামান বলেন, চরফ্যাশনে ১১ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও বাঙ্গি আবাদ হয়েছে। তরমুজ চাষিরা যেন বিপাকে না পড়েন এজন্য মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কামরুজ্জামান শিপনসহ অন্যরা সার্বক্ষণিক মাঠ পরিদর্শন ও চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২৪:২৩ ১৩২ বার পঠিত | চরফ্যাশনচাষিদের মুখে হাসিতরমুজ.বাম্পার ফলন