দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর ভোলায় মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে নামবেন জেলেরা

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর ভোলায় মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে নামবেন জেলেরা
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪



খলিল উদ্দিন ফরিদ।।ভোলাবাণী।।

দীর্ঘ দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভোলার জেলেরা। দীর্ঘদিন পর নদীতে গিয়ে আশানুরূপ মাছ পাবেন, এমনটাই আশা তাদের। এরইমধ্যে মাছ শিকারের সকল উপকরণ প্রস্তুত করেছেন জেলেরা।

 

ভোলায় মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে নামবেন জেলেরা

জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর কঠোর অভিযান হয়েছে। এজন্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। কাঙ্খিত মাছ শিকার করে সংসারের অচল চাকা সচল করার আশায় বুক বাঁধছেন জেলেরা।
চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ ঘাট এলাকার জেলে হাসান বেপারী বলেন, আমরা মাছ ধরতে সকল ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। জাল নৌকা মেরামত করেছি। নিষেধাজ্ঞার সময়টা আমাদের অনেক কষ্টে কেটেছে। আশা করি নদীতে এবার মাছ পাওয়া যাবে। কাঙ্খিত মাছ পেলে আমাদের সংসারের দুরবস্থা কিছুটা লাগব হবে।

ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ভোলার খাল ও ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি জেলে পল্লীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকারের জন্য জাল, নৌকা, ট্রলারসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার প্রায় আড়াই লাখ জেলে। নিষেধাজ্ঞা শেষে দল বেঁধে আবারও নদীতে নামবেন তারা।

ভোলার খাল এলাকার জেলেরা জানান, দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার কারণে আমরা নদীতে গিয়ে মাছ ধরতে পারিনি। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে যাওয়ার জন্য নৌকা, ট্রলার, জালসহ মাছ শিকারের সকল সামগ্রী প্রস্তুত করেছি। জেলেরা দল বেঁধে নদীতে গিয়ে ইলিশ, পোয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরবো।

লালমোহনের বাত্তির খাল এলাকার দুলাল মাঝি ও নাছির মাঝি বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের আয় রোজগার বন্ধ ছিল। তাই ধার-দেনা করে সংসার পরিচালনা করেছি। তার আগে এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে জাল, নৌকা, ট্রলার তৈরি করেছি। সেই ঋণের কিস্তি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দিতে না পেরে পালিয়ে বেড়িয়েছি। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে গিয়ে বড় সাইজের ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, পোয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ শিকার করে বকেয়া কিস্তি ও ধার-দেনা পরিশোধ করবো।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কামাল আজাদ দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে সম্পূর্ণ করেছেন দাবি করে জানান, নদীতে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণ ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ রয়েছে। তাই নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত মাছ পেয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। আর সেইসঙ্গে ভোলায় ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই মাসের অভিযান কঠোরভাবে পালিত হয়েছে। জেলেদের নদীতে নামতে দেয়া হয়নি। সম্মিলিতভাবে অভিযান পরিচালনা করায় এবার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ইলিশ আহরণ হবে।

এদিকে দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর চালু হচ্ছে ইলিশের ঘাট ও আড়তগুলো। রাত পোহালেই ঘাটে ভিড়বে ইলিশ। ক্রেতা-বিক্রেতা ও আড়তদারদের হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠবে ঘাটগুলো। একই সঙ্গে চালুর অপেক্ষায় রয়েছে বন্ধ থাকা বাকি চারটি বরফকল।

ইলিশের আভয়াশ্রমের কারণে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশসহ সব ধরণের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৭:৪৫   ৯৮ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানালো যুক্তরাষ্ট্র
মনপুারায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে নিম্নমানের বালু ব্যবহারের প্রতিবাদ করায় হামলায় নিহত ১
গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ৯৭০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
ড. মুহাম্মদ ইউনূসে সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ভোলায় সাংবাদিকদের সম্মানে জামায়াত ইসলামীর ইফতার মাহফিল
তেতুলিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ জলদস্যু আটক
বোরহানউদ্দিনে চাষাবাদকৃত জমির ফসল লুটপাট ব্যপক ক্ষতি সাধন
ভোলায় খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
বোরহানউদ্দিনে যুবদলের আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
১৮ মার্চ : আজকের নামাজের সময়সূচি

আর্কাইভ