বিশেষ প্রতিনিধি
বুধবার সন্ধ্যা রাতে নীলকমল ইউনিয়নের চর যমুনা গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীর গণধোলাইর শিকার হয়েছেন চরফ্যাশন খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম। এসময় স্থানীয় জনৈক জয়নাল আবেদীন জনরোষ থেকে আবুল কালামকে উদ্ধার করে নিজ হেফাজতে নেন এবং মধ্য রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, এই কর্মকর্তা দুলারহাট পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন কালে পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং অনৈতিক সম্পর্কের দৃশ্য ভিডিও ধারন করেন। বুধবার সন্ধ্যায় ঐ ছাত্রীর বাড়ি গেলে গ্রামবাসীরা তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবুল কালাম অভিযোগ করেন, জেলা কর্মকর্তার টেলিফোন নির্দেশে দুলারহাট খাদ্যগুদামে গেলে একদল ‘ছেলেপেলে’ তার মটর সাইকেলের গতিরোধ করে তাকে এলোপাথারী মারধর করে। এসময় গুদামের ছাবি,তার ব্যবহৃত মোবাইল সেট এবং কিছু টাকা তারা নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর জনৈক কলেজ ছাত্রীর সাথে আবুল কালামের গোপন ভিডিও ফাঁস হয়ে যায়। যে ভিডিওতে চরফ্যাশনের দুলাহাট এলাকার এক কলেজ ছাত্রীর সাথে চরফ্যাশন খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালামকে অনৈতিক কান্ডে লিপ্ত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। ভিডিও সম্পর্কে আবুল কালাম উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান, ওই ছাত্রীর সাথে ১বছর ধরে তার সম্পর্ক । তার সাথে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে তবে ছাত্রীর বয়স কম থাকায় বিয়েটা এখনো হয়নি। হবু বধুর সাথে একান্ত সময়ের ভিডিও তার জনৈক বন্ধু ধারন করেছে।
আবুল কালামের বক্তব্যের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন তার বাসায় উপস্থিত সংবাদকর্মীদের বলেন, ভিডিও’র বিষয়ে শাস্তি প্রদানের এখতিয়ার আমার নেই। তবে মেয়েপক্ষ আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।
উল্লেখ’ইতিপূর্বে সেখানে গিয়ে জনরোষে পড়েন তিনি। ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর গত ১৭ মে চরফ্যাশন উপজেলা খাদ্য অফিস থেকে আবুল কালামকে স্ট্যান্ডরিলিজ করে খুলনায় নেয়া হয়। তিন মাস পর ৬জুলাই তিনি চরফ্যাশন খাদ্যগুদামে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন এবং ওই ছাত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক শুরু করেন।
কলেজছাত্রীকে নিয়ে আবুল কালামের একাধিক ভিডিও এবং আপত্তিকর ছবি ফাঁসের ঘটনায় গোটা চরফ্যাশনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:১২:৫৬ ১৫৩০ বার পঠিত |