চরফ্যাশন প্রতিনিধি, ভোলা বানী ॥
চরফ্যাশনের দুলারহাট থানার নীল কমল ইউনিয়নে মিরাজ হত্যা মামলায় মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে অস্বিকৃতি জানানোর কারণে নিহত মিরাজের স্বজনরা নীলকমল ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি ও নীলকমল ইউনিয়ন বিডিপি কমান্ডার মো.শাহাবুদ্দিন এবং তার কন্যা নিলীমা জ্যাকব কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার শিরিনকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। আহত বাবা এবং মেয়েকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত মঙ্গল ও বুধবার ঘোষেরহাট বাজারে শাহাবুদ্দিনের বাসার সামনে এঘটনা ঘটেছে বলে জানাগেছে। এঘটনায় মঙ্গলবার দুলারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মো.শাহাবুদ্দিন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শাহাবুদ্দিন বলেন, মিরাজ হত্যা মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বাক্ষী দেয়ার জন্য দির্ঘ দিন যাবত মিরাজের মা নুরুন্নাহার আমাকে বলে আসছেন। কিন্তু আমি মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে পারবনা বলে তাকে জানিয়ে দিয়েছি। মঙ্গলবার এনিয়ে আমার কলেজ পড়–য়া মেয়ে খাদিজার সঙ্গে তর্কে জড়ায় নিহত মিরাজের মা নুরজাহান বেগম। এক পর্যায়ে তিনি আমার মেয়ের মুখে ইট নিক্ষেপ করেন। এতে আমার মেয়ে গুরুতর আহত হলে আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। এঘটনায় আমি বাদি হয়ে নুরনাহারকে অভিযুক্ত করে দুলারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। বুধবার থানা পুলিশ ঘটনা তদন্ত শেষে থানা ফিরলে দুপুরের পর আমার মেয়ে শারমিন(১৬) ও শাহারা (৯) নলকুপের পানি আনতে যায়। পথিমধ্যে নুর নাহারের ছেলে নাহিদ ও রিয়াজ তাদেরকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এসময় মেয়েরা চিৎকার দিলে আমি তাদেরকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তারা আমাকে এলোপাথারী মারধর করে আহত করে। তাদের প্রহারে আমার মাথা এবং বাম কানে রক্তাক্ত জখম হয়। স্বজনরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে নুরুন্নাহারের ছেলে রিয়াজ জানান, মিরাজ হত্যা মামলায় মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে অস্বিকৃতি জানানোর কারণে আমরা তাদের উপর হামলা করেছি এসব অভিযোগ সঠিক নয়।
দুলারহাট থানার ওসি মো.ইকবাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার শাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে তার মেয়ের উপর হামলার অভিযোগে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বুধবারের ঘটনায় কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি। তবে দুই পক্ষের লোকই আহত হয়েছে। আমি তাদেরকে চিকিৎসা নিতে বলেছি।
বাংলাদেশ সময়: ০:৩৩:২৫ ২৩৮ বার পঠিত |