এম শাহরিয়ার জিলন, ভোলা ॥
ইসলামের নামে ভন্ডামীর প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে দৌলতখান উপজেলার মিয়ার হাট এলাকা। উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের মিয়ার হাট বাজার সংলগ্ন তথাকথিত হাক্কানী খানকা শরীফের পীর দাবিদার ভন্ড জোবায়ের হাক্কানী, হানিফ হাক্কানী সহ খানকা সংশ্লিষ্টদের বিচার ও হাক্কানী খানকা শরীফ বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ঈমান আক্বিদা সংরক্ষন কমিটি মিয়ার হাট আঞ্চলিম শাখা।
ঈমান আক্বিদা সংরক্ষন কমিটির মিয়ার হাট শাখার সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চরপাতা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাওঃ আবদুর রহমান খান, ঈমান আক্বিদা সংরক্ষন কমিটির ভোলা জেলা যুগ্ম সম্পাদক ও ইসলামী আন্দোলন জেলা সম্পাদক মাওঃ মিজানুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন ভোলা পৌর শাখার সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মমতাজী, জেলা ইসলামী আন্দোলন যুগ্ম সম্পাদক মাওঃ তরিকুল ইসলাম, চরপাতা মাদ্রাসার মোহাদ্দীস মাওলানা ইউসুফ হোসাইন, চরসুভী মাদ্রাসার মোহাদ্দীস মাওলানা আবুল কাসেম, সাহেবের হাট মাদ্রাসার মোহাদ্দীস মুফতি মানজুর হোসাইন, ছোটধলী মাদ্রাসার মোহাদ্দীস মাওলানা বেলাল, আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার মোহাদ্দীস মাওলানা ছালাহ উদ্দিন প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভন্ড জোয়ারে নিজেকে পীর পরিচয় দিয়ে বলে যে, তার মুরিদ হলে নামাজ পড়তে ওজু করা লাগবে না। দিল ঠিক থাকলে সব ঠিক। এই ধরনের আক্বিদায় বিশ্বাসীরা মুসলমান থাকতে পারে না। কয়েকদিন আগে তাদের ওরসে হিন্দু-খৃষ্ট্রান ও অর্ধালঙ্গ নারীদের নিয়ে জুমার নামাজের সময় গান বাজনা করে মুসল্লিদের নামাজে বিঘœ সৃষ্টিকারী মুসলমান হতে পারে না। প্রশাসন যদি এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে কেউ দায়ী থাকবে না।
সমাবেশ থেকে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষনা দেওয়া হয়। এবং আগামী ৯ তারিখের মধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে কোন কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ১০ তারিখ শুক্রবার বিকেলে খানকার ঘেরাও কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়। ঘেরাও কর্মসূচীতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে কে দায়ী থাকবে না বলে বক্তারা হুশিয়ার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৪:৩৪ ২৫২৮ বার পঠিত |