চরফ্যাশন অফিস, ভোলা বানী॥
ভোলার চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচা থানার চরপাতিলায় অভিযান পরিচালনা এবং জেলেদের ঘরে রক্ষিত জাল উদ্ধার করে তা পোড়াতে গিয়ে দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মাসুম তালুকদার অবরুদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার পর বর্তমান ও সাবেক স্থানীয় দুই ইউপি সদস্যের সহায়তায় তাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে চরকুকরি মুকরী ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরপাতিলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে ।
চরপাতিলার নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে, দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মাসুম তালুকদার চর পাতিলায় অবৈধ জাল উদ্ধার পরিচালনার নামে জেলেদের ঘরে ঘরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল উদ্ধার করে নির্দিষ্ট স্থানে স্তুপ করান। এরপর জেলেদেরকে সমঝোতার কথা বললে জেলেরা রাজি না হওয়ায় স্তুপকৃত জালে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। এ ঘটনায় ক্ষুব্দ জেলেরা ওসি ও তার সঙ্গিয় ফোর্সদের অবরুদ্ধ করে ফেলে। তাৎক্ষনিক ওসি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনকে অবহিত করলে চরফ্যাশনের সর্বমহলে বিষয়টি জানাজানি হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জেলে জানান, এক সপ্তাহ আগেও চর পাতিলার মেঘনা নদীতে সকল প্রকার জাল ফেলে মাছ ধরার জন্য ওসিকে মাশোয়ারা দেওয়া হয়। পূনরায় মাশোয়ারার কথা বললে ক্ষুব্দ জেলেরা ওসিকে অবরুদ্ধ করে।এসময় চর পাতিলা ইউপি সদস্য মোঃ বাদশা ও সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেম ওসিকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন। তারা আরো জানান, পাতিলার জেলেদের সাথে আলাপ করলে ওসির মাশোয়ারা নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পাবে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা, আপনাদের মাধ্যমে জানলাম।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন ফোন রিসিভ করে অসুস্থ আছি বলে ফোন কেটে দেওয়ায় ঘটনার বিষয়ে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, অবৈধ জাল উদ্ধার ও পোড়ানোর ক্ষেত্রে ভ্রাম্যমান ম্যাজিষ্ট্রেট ও মৎস্য বিভাগের জনবল নিয়ে অভিযান চালানোর নিয়ম। তবে তার অভিযানের বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মাসুম তালুকদারকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। “অবরুদ্ধ হয়েছি কে বলেছে? আপনারা ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেন”।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৪০:৪০ ৫৪৬ বার পঠিত |