মিজান নয়ন, ,চরফ্যাশন অফিস, ভোলা বানী।
উপকূলের জন্য হউক একটি দিন,জোড়ালো হউক উপকূল সুরক্ষার দাবী এই শ্লোগানে ৭০’র ১২ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে প্রয়াত উপকূলবাসীকে স্মরণ এবং প্রস্তাবিত উপকূল দিবস পালিত হয়েছে । সোমবার চরফ্যাশন প্রেসক্লাব,কোস্টাল জার্নালিষ্ট ফোরাম-চরফ্যাশন ও কর্মকুটির বাংলাদেশ’র আয়োজনে দিবসটি পালনে চরফ্যাশনে র্যালি আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত হয়েছে। প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল হাসেম মহাজনের সভাপতিত্বে চরফ্যাশন প্রেসক্লাবে এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ১৯৭০ সালের ১২নভেম্বরের মহা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের বর্ননা দিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রভাষক মনির আহাম্মদ শুভ্র ও বিভুতি ভুষন বাবুল, আব্দুল হক মিয়া, পৌর কাউন্সিলর আক্তারুল আলম সামু, সাংবাদিক ইয়াছিন আরাফাত প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ৪৮ বছর আগের এই দিনের বেদনা বিধূর ইতিহাস বাঙালি জাতি আজো ভুলতে পারেনি। ১৯৭০ সালের ১২নভেম্বর সমগ্র উপকূল জুড়ে বয়ে যায় মহা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। প্রান বির্সজন দিয়েছে উপকূলের ১০ লক্ষাধিক নিরক্ষর মানুষ । ভেসে যায় গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাঠ ফসল এবং অসংখ্য গাছপালা, পশু-পাখি। পুরো উপকূল মুহূর্তেই ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে লাশ আর লাশ। লাশের গন্ধ আর স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে এলাকার আকাশ-বাতাস। সভা থেকে ১২ নভেম্বরকে জাতীয় উপকূল দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবী জানানো হয়।
জলোচ্ছ্বাসে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে যোহরের নামাজের পর খাসমহল জামে মসজিদেও দোয়া মোনাজাত হয়েছে
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৪:৫৪ ২৯৫ বার পঠিত |