ভোলায় আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » ভোলায় আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
বুধবার, ১ নভেম্বর ২০১৭



---ছোটন সাহা ॥ভোলাবাণী।।
রোগ ও পোকান আক্রমন না থাকায় এ বছর ভোলায় আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। উৎপান খচর পুশিয়ে তারা লাভবান হবে বলেও আশাবাদি কৃষকরা। কৃষকরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ের প্রকৃতিক দুর্যোগে কারনে ফসলের কোন ক্ষতি হয়নি। এ কারনেই ফলন অনেক ভালো হবে বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে আমন আবাদে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়াতে এ বছর ৪ লাখ ২০ হাজার ৮১২ মেট্রিক টন চাল উৎপান হবে বলে আশাবাদি কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগ বলছে, গত বছরের তুলানায় ফলন অনেক ভালো। এতে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে জানা গেছে, ভোলার সাত উপজেলায় এক লাখ ৭৭হাজার হেক্টর জমিতে এ বছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিলো। কিন্তু আবাদ হয়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার হেক্টর। যা লক্ষা মাত্রার চেয়ে ২ হাজার হেক্টর বেশি।
মোট আবাদের মধ্যে মধ্যে ভোলা সদরে ২৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর, দৌলতখান উপজেলায় ১৬ হাজার ৫৫০, বোরহনউাদ্দনে ১৮ হাজার ৫০০, তজুমদ্দিন উপজেলায় ১১ হাজার, মনপুরা উপজেলায় ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর, লালমোহন উপজেলায় ২৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর এবং চরফ্যাশন উপজেলায় ৭০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে।
ভোলা সদরের শিবপুরের বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের বিস্তীর্ন ফসলের ক্ষেতে আমনের আবাদ। কেউ আগাছা দমন করছেন কেউবা ক্ষেত পরিচর্চা করছেন। পোকা কিংবা কোন রোগের আক্রমন নেই। ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা।
দক্ষিন রতপুর গ্রামের কৃষক মোসলে উদ্দিন বলেন, গত ৩০ বছল ধরে আমনের আবাদ করে আসছি। এ বছরও ১৫ গন্ডা জমিতে আমনের আবাদ করেছি, ক্ষেতের অবস্থা অনেক ভালো। উৎপাদন খরচ পুশিয়ে লাভ হবে।
দেড় কানি জমিনে আমনের আবাদ করেছেন কৃষক ইব্রাহিম। তিনি বলেন, আমন আবাদ করতে ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে আশা করি ৩৫ হাজার টাকা লাভ হবে।
তোফাজ্জল হোসেন বলেণ, ১০ গন্ডা জমিতে আমনের আবাদ করেছি, প্রথম দিকে কিছুটা পোকা থাকলেও ক্ষেতে কোন ক্ষতি হয়নি। বৃষ্টি হওয়াতে ক্ষেতের অবস্থা অনেক ভলো।
ভোলা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, প্রতি বছরই জেলায় আমানের ভালো ফলন হয়ে থাকে তাই এব বছর কৃষকদের আগ্রহ অনেক বেশী। ফলন অনেক ভালো হবে বলে আমরা আশাবাদি।
উল্লেখ্য, গত বছর জেলায় ১লাখ ৭৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয় এবং তা থেকে ৪ লাখ ২০ হাজার ৮১২ মেট্রিন টন চাল উৎপাদন হয়েছে।
প্রতি বছরের আগষ্ট মাস থেকে আমন আবাদ শুরু হয় এবং নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে কর্তনের উপযোগী হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৮:৩২   ১৬৭ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

বিশেষ প্রতিবেদন’র আরও খবর


দক্ষিণ আইচায় স্কুল ছাত্র নয়নের রিমোট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত লঞ্চ ভাসছে পানিতে
দেশে অর্ধেকের বেশি নারীর বাল্যবিয়ে হয়’
টাঙ্গাইল শাড়ি চিনবেন কীভাবে
ভোলায় চলছে জাটকা নিধন ॥ ইলিশের উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা
ভোলায় শৈত্যপ্রবাহে হাঁড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপন্ন
ভোলার বন্ধন হেলথ কেয়ার চালু করল অনলাইন নার্সিং হোম সার্ভিস
দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে স্কুল উধাওচরফ্যাশনে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
পরিবারিক ভ্রমণের জন্য ৪ টিপস
তজুমদ্দিনে সরকারি নলকূপ অকেজো, গরমে তীব্রতায় পানি সংকট।
ভোলায় আরো ৫ কূপ খননের পরিকল্পনাদেশর ২৯তম গ্যাস ক্ষেত্রর মর্যাদা পেয়েছে ইলিশা-১ কূপ।

আর্কাইভ