বিশেষ প্রতিনিধি।।ভোলাবাণী।। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানায় বেসরকারি সংস্থা কো-ইড স্কুলের টিনসেট ঘর সহ আসবাবপত্র গায়েব করলেন সাবেক সভাপতি। এতে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড মধ্য চরআইচা কো-ইড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওই স্কুলের পাশ্ববর্তী রফিক মাতাব্বরের বাড়ির ওঠানে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষকরা পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন এমন চিত্রই দেখা গেছে। এতে পাঠদানসহ সার্বিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে কো-ইড স্কুলটির।চরআইচা কো-ইড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. জিসান, সাকিব, সেলিনা ও তৃতীয় শ্রেণির তানহা জানায়, গত ২৭ আগষ্ট রবিবার বিদ্যালয়ে এসে দেখি স্কুল ঘরটি সহ আসবাবপত্র উধাও, এরপর শিক্ষকরা আমাদেরকে দোকানের সমানে বসিয়ে পরীক্ষা নেন। পরর্বতীতে পরীক্ষা শেষ হলে আমাদেরকে শিক্ষকরা বিভিন্ন জায়গায় রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে বসিয়ে পাঠদান করাচ্ছে। আমরা মাটিতে বসে কষ্ট করে ক্লাস করতে হয়। প্রায় সময় আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। এসময় তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে কো-ইড স্কুল ঘরটি ফিরে পেতে দাবি জানান।
মধ্য চরআইচা কো-ইড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ২০০৬ সনে চরমানিকা ইউনিয়নের চর আইচা গ্রামে অস্টেলিয়ান সংস্থার আর্থয়ানে মধ্য চরআইচা কো-ইড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ১৭ বছর ৫ জন শিক্ষক দিয়ে স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছে। সম্প্রতি সময়ে ওই বিদ্যালয় এলাকায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কো-ইড স্কুলের জায়গায় ঘূর্ণীঝড় কাম সাইক্লোন সেল্টার নির্মান হলে ওই খানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালু রাখার কথা থাকলেও কো-ইড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি বশির উল্লাহ মিয়া ওই ঘূর্ণীঝড় কাম সাইক্লোন সেল্টার নতুন করে পূর্ব চর আইচা আদর্শ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় চালু করেন। এনিয়ে দুই স্কুলের মধ্যে দ্বন্দ শুরু হয়। এবং বশির উল্লাহ মিয়ার প্রতিষ্ঠিত নতুন স্কুলটিতে শিক্ষার্থী শুন্য থাকায় কো-ইড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের ভাগিয়ে নিতে গত শুক্রবার ভোর রাতে স্থানীয় প্রভাবশালী বশির উল্লাহ মিয়ার নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের টিনসেট ঘরটি ভেঙে গুড়িয়ে গায়েব করেদেন। এবং বিদ্যালয়ে থাকা আলমিরা টেবিল চেয়ার ও শিশুদের বেঞ্চ ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ছিনিয়ে নেন। এতে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিপক্ষে পড়ি। বর্তমানে রাস্তা ঘাটে এবং মানুষের বাড়িতে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছি। এসময় তিনি বিদ্যালয়টি দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব থাকা সহকারী কমিশনার ভূমি আবুল মতিন খান জানান, এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আদালতের রায় অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৯:১১ ২১৩ বার পঠিত | খোলা আকাশের নিচেচরফ্যাশনপাঠদানশিক্ষার্থী