সাফল্য-ব্যর্থতার ২০১৬ পেরিয়ে সম্ভাবনার ২০১৭ সালে পা রাখছি। নতুন বছরেও জঙ্গিবাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক চর্চায় আমরা পিছিয়ে পড়েছি। ক্ষমতাসীন দলকে সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে সর্বদলীয় সহাবস্থানের নীতি নিতে হবে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে দেশের অনেক সমস্যা রয়েছে। বিমানকে দুর্নীতিমুক্ত করতে বছরের শেষ প্রান্তে এসে প্রধানমন্ত্রী যে সাঁড়াশি উদ্যোগ নিয়েছেন অন্যান্য খাতেও এ ধরনের সাহসী পদক্ষেপ দেশবাসী প্রত্যাশা করছে।
জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তি দেশের শিক্ষা, রাজনীতিসহ সব ক্ষেত্রেই অনুপ্রবেশ করেছে। ২০১৬ সালে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির তত্পরতা বৃদ্ধি পেয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সাহস ও দক্ষতার সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণ করেছে।
এ লক্ষ্যে দেশবাসীকেও সচেতন হতে হবে, যুবশক্তিকে সব অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। যেকোনো মূল্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে অপশক্তির কবল থেকে মুক্ত রাখতে হবে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করতে হবে। সারা দেশে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে দেশে সুশাসনের অবনতি ঘটেছে। মানুষ উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারছে না। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। বর্তমান সরকার এ ক্ষেত্রেও সফল হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩২:০৭ ১৩০ বার পঠিত |