ছোটন সাহা, ভোলাবাণী:: মাটি নিয়ে খেলা করছে ওরা, কেউ হাসছে কেউ দুস্টমি করছে কেউবা একে অপরের গায়ে মাটি লাগিয়ে দিচ্ছে। নেই পড়ার চিন্তা, নেই শাশন। বাবা-মায়ের বকুনি শুনার চিন্তাও নেই কারো, কে শুনে কার কথা, একমনে খেলে যাচ্ছে মাটির খেলা। হাসি আনন্দ মিলে গেছে আপন মনে।
দুরন্ত শৈশবের এমনি চিত্র দেখা গেছে ভোলার দৌলতখান উপজেলার মেঘনা তীরে। বাঁধের কাছা-কাছি সড়কে আপন মনে খেলা করছে তারা। কখনও কখনও আবার হঠাৎ করেই চিৎকার চেচামেচি। চুলোচুলি করেও হাসি-আনন্দ।
খেলতে গিয়ে কারো পুরো শরীরে কাদা মাটিতে বিবর্ন, আবার কারো নাক-মুখে। কিছুক্ষণ পর পর নরম মাটি হাতে নিয়ে গোলকার করে জোরে মাটিতে ফেলে শদ্ব করা হচ্ছে। কে কতো জোরে ফেলে কত বেশী শদ্ব করা যায় চলে সে প্রতিযোগীতাও।
মেঘনা তীরে গিয়ে মাহিন, হাফসা, ঝুমুর, সিনথিয়া, মুন্না, ইকবাল সজিব, মৌমিতা, মারুফসহ ৭/১০ টি শিশু খেলা করতে দেখা গেছে। এদের মধ্যে কেউ স্কুলে ভর্তি হয়েছে, কেউ স্কুলে ভর্তি হওয়ার বয়স হয়নি কেউবা দারিদ্রতার কারনে পড়ালেখায় ইতি টেনেছে। কখনও কখনও কোমল হাতে ভারি বোজাও টানতে হয় কোন কোন শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের। তবে দুরন্ত শৈশব যেন ওদের চোখ-মুখে। একসাথে সঙ্গীদের সাথে খেলে করে মহাখুশি তারা।
শহরের শিশুদের সাথে এসব শিশুদের পার্থক্য অনেক। শহরের শিশুরা ভিডিও গেম, মিনি সাইকেল, টিভিতে কার্টুন দেখা, পার্কে দৌড়াদোড়ি, বাড়ির আঙ্গিনায় বা পার্কে দোলনায় দোলা খাওয়া বা ট্রেন চরকি তে ঘোরাসহ নানা আধুনিক বিনোদন সামগ্রী মেতে উঠলেও যেন গ্রামের শিশুদের চিত্র ভিন্ন। তারা তপ্ত পুড়ে বা পুকুর পাড় বা বাধের উপর খেলা করেই। এতেই যেন তাদের আনন্দ। তবে এদের আনন্দ আর শহুরে শিশুদেন বিনোদন ভিন্ন হলেও যেন দুরন্ত শৈশবের চিত্র একই।
বাংলাদেশ সময়: ৭:০৫:১০ ৩১৬ বার পঠিত |