চরফ্যাশন প্রতিনিধি, ভোলাবাণী: জমিজমা বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাপুর ইউনিয়নের একটি বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় ৩ নারী আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন গৃহকর্তি অজুফা খাতুন, মেয়ে তাছলিমা ও নাছরিন।
আহতদের মধ্যে নাছরিনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে হাসপাতাল সুত্রে জানাগেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এবং সন্ধ্যা রাতে সংঘঠিত এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার পর হামলাকারীরা বাড়ীর মালিক সোবহান খাঁকে বিভিন্ন রকম হুমকি দেয়ায় তিনি ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে তার মেয়ে তাছলিমা বেগম জানিয়েছেন।
তাছলিমা বেগম বলেন, আমার চাচা নুরে আলম খাঁর সাথে আমাদের জমিজমা বিরোধ দীর্ঘ দিনের।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার চাচাতো ভাই এমরান আমাদের সাথে তুচ্ছ বিষয়ে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে আহত করে। যাওয়ার সময় আমাদেরকে শেষ করে দিবে বলে শাসিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর এমরানের নেতৃত্বে একদল যুবক দেশীয় অস্ত্র দা ছেনি নিয়ে বাড়িতে ঢুকে আমাদেরকে ঘরের দরজা খুলতে বলে। আমরা দরজা না খোলায় তারা তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে দরজা খুলে ঘরে ঢুকে আমার মা অজুফা খাতুন, বোন নাছরিন এবং আমাকে মারধর করে ভাত খাওয়ার থালা বাটিসহ ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল ভাংচুর করে চলে যায়।
বাড়ির গৃহকর্তি অজুফা খাতুন জানান,গত বছরের ২১ অক্টোবর শুক্রবার প্রতিপক্ষ নুরে আলম ও তার ছেলে এমরান তার স্বামী সোবাহান খাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়িতে হামলা করে তাকে না পেয়ে মালামাল তছনছ করে। ঘটনার পর তারা চরফ্যাশন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সাত ধারা ১০৭ ও ১১৭ মামলা দায়েরে করেন।
সোবাহান খাঁ বলেন, ডিয়ারা খতিয়ান এবং বরিশাল ২য় সাব জজ আদালতের দেওয়ানী মামলা নং ৯৬/৫৩ এর ডিক্রি মুলে আবদুল্লাপুর মৌজায় ৪.৩৩ শতক জমির মালিক আমি । আমার ভাই নুরে আলম খাঁ উক্ত জমি তার দাবী করে চরফ্যাশন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ১৯১/১৫মামলা দায়ের করে আমাকে অযথা হয়রানি করছে। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
প্রতিপক্ষের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় একাধিক বার চেষ্টা করেও এবিষয়ে তাদের বক্তব্য জানাযায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৭:৫১ ২৯০ বার পঠিত |