ষ্টাফ রিপোটার,চরফ্যাশন।।
চরফ্যাশনের আবদুল্যাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল এমরান প্রিন্স এর বিরুদ্ধে হাজারীগন্জ ৮নম্বর ওয়াডের মাইনুদ্দিন খালের মাটি ড্রেজার মালিকের কাছে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ড্রেজার মালিক খালটি খনন করে মাটি নিয়ে যাওয়ার কারণে খাল সংলগ্ন এলাকার সরকারি রাস্তা এবং বসত বাড়ি ধসে পড়ার হুমকির মুখে পড়েছে। ফাটল ধরেছে একাধিক বসত ঘরে। তবে ইউপি চেয়ারম্যান আল এমরান প্রিন্স বলছেন, সরকারি খাল নয় আমি ড্রেজার মালিকের কাছে আমার খামারের মাটি বিক্রি করেছি। ড্রেজার মালিক যে পরিমান মাটি কাটার কথা ছিল তার অধিক মাটি কাটায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখন চেয়ারম্যানের নির্দেশে ড্রেজার মালিক রাস্তা এবং বসত ঘর যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে লক্ষে ফাইলিং করে দিচ্ছেন।
সরেজমিনে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত মফিজ,দুলাল, ছাদেক ও কুট্রি মিয়াসহ এলাকাবাসীরা জানান, চেয়ারম্যান লিজ এনেছেন বলে বহু বছর যাবত খালটিতে মাছ চাষ করে আসছেন। কিন্তু গত তিনমাস আগে ওই খালে দুটি ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলনের ফলে বসত ভিটায় ফাটল ধরলে খাস পাড়ার বাসিন্দারা মাটি কাটায় বাধা দেন। কিন্তু চেয়ারম্যান প্রিন্স স্থানীয়দের বাধা উপেক্ষা করে খালের মাটি কাটার কাজ অব্যাহত রাখেন। তিন মাসে খালটিতে প্রায় ত্রিশ হাত গভীর করে মাটি কাটা হয়েছে। এ কারণে সেখানে বসবাসরত ৩০টি পরিবার বসত ঘর এবং সরকারি রাস্তা ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
ফাটল ধরা বসতঘরের মালিক নাজমা বেগম বলেন,আমার স্বামী দিনমজুর হিসেবে মানুষের কাজ করে যা আনে তা দিয়ে তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটে আমাদের।চেয়াম্যান মাটি কাটার কারণে আমার বসত ঘর ফাটল ধরেছে। এখন তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি কখন ঘরটি ধসে পড়ে।
ইউপি চেয়ারম্যান আল ইমরান (প্রিন্স)বলেন, সরকারি খাল নয় তিনি তার মাছের খামার থেকে মাটি ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটেছেন। প্রতিপক্ষরা তার সম্মানহানি করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-নোমান বলেন, সরকারি খাল থেকে মাটি বিক্রি করে থাকলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:০৭:৪৬ ৯০ বার পঠিত |