মিজান নয়ন,চরফ্যাশন অফিস
চরফ্যাশন পৌরসভা ৪নম্বর ওয়ার্ডের হরিবাড়ি সংলগ্ন স্বামী মানস মজুমদার শাওনের ঘর থেকে শুক্রবার গভীর রাতে শ্বারশতী রায় চৈতি (২৫) নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে চরফ্যাশন থানা পুলিশ। নিহত গৃহবধু একই ওয়ার্ডের সুভাষ মজুমদারের মেয়ে।
এঘটনায় নিহতের পিতা সুভাষ মজুমদার বাদী হয়ে তার মেয়েকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে শশুড় সমীর মজুমদার, শাশুড়ী নিয়তি রানী ও স্বামী মানস মজুমদার শাওনকে আসামী করে শনিবার চরফ্যাশন থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ শশুড় সমীর মজুমদার ও স্বামী মানস মজুমদার শাওনকে গ্রেফতার করে গতকালই আদালতে সোপর্দ করেছেন। চরফ্যাশন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গৃহবধুর পিতা সুভাষ চন্দ্র রায়ের অভিযোগ, তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য শশুড় সমীর মজুমদার, শাশুড়ী নিয়তি রানী ও স্বামী মানস মজুমদার শাওন দায়ী ।
অভিযুক্ত শশুড় সমীর মজুমদার জানান, তার পুত্র বধু উগ্রমেজাজের। শুক্রবার তজুমদ্দিন উপজেলায় তাদের প্রতিবেশী পরেশ চন্দ্র দাসের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে ছেলে শাওন স্ত্রীকে না নেয়ায় রাতে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেছে।
চরফ্যাশন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া জানান, নিহত গৃহবধুর শয়ন কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরের কোথায়ও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের শশুড় এবং স্বামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৫:৪৫   ৫৭ বার পঠিত  |