এম এ আশরাফ।।ভোলা বাণী।।দৌলতখান প্রতিনিধি ঃ
১ নং ওয়ার্ডের সদস্য নান্নু মিয়া (৫৫) কে হত্যা চেষ্টা করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। নান্নু মিয়া জানান, সৌয়দপুর ১ নং ওয়ার্ডের জেলে মোঃ দুলাল এর সাথে ঝগড়া হয় ট্রাক ড্রাইভার জুয়েলের। তিনি উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেন এবং সবার সাথে পরামর্শ করে এর সমাধান করে দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় মুনাফ ব্যাপারি পোল থেকে রিকসা করে রাহারি জঙ্গল মোড়ে আসার সময় এই হামলার গঠনা ঘটে।ঘটনাটি ঘটে ফোনার কান্দি নামক স্থানে। তারা নান্নু ও মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনের উপরে এই হামলা চালায়।
নান্নু মেম্বারের সাথে থাকা মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন (৭০) কেও এলোপাথাড়ি কোপায়।এই সন্ত্রাসী হামলার সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন, শিজন আলী, সাহিন, জুয়েল, রিয়াজ, মজনু, ইসমাইল,আলমগির,আরিফ,সোহেল, সবুজ এবং তাদের নেতৃত্বে প্রায় অর্থশতাধিক পুরুষ,মহিলা এই হামলায় যোগ দেন।
প্রথমে তারা রিকসার গতিরোধ করে এবং কিছু বুঝে উঠার আগেই তাদেরকে এলোপাথারি আক্রমণ করে। লাঠি ও ধারালো অস্ত্র ব্যাবহার করে হামলা কারিরা।
ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা গেছে তাদের ঘাড়ে, হাতে, বুকে, পিঠে কোপানোর ক্ষতো অক্ষত আছে এবং পুরো শরীর পিটিয়ে থেতলে দেওয়া হয়েছে। পরে তাদেরকে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা ফেলে রেখে চলে যায়। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর পথচারিরা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে এ ভর্তি করে।
তাদের উপর যখন হামলা হয়েছিলো তখন আসেপাশে অনেক লোক থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি হামলা কারিদের ভয়ে। কারন এরা ঐ এলাকার চিহ্নিত অপরাধী এবং মাদকাসক্তের ও চুরি,ছিনতাই,ডাকাতির সাথে সরাসরি জরিত আছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন।
মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন বাদি হয়ে থানায় মামলা করে, মামলা নং -০৪।
তদন্ত কারি কর্মকর্তা এস,আই মোস্তফা বলছেন আসামি দুই জন, ৩ নং ওয়ার্ডের রিয়াজ ও ৫ নং ওয়ার্ডের আহাদ কে গ্রেপ্তার করেছে।
তদন্তকারি কর্মকর্তা জানান, আহতরা হাসপাতালে ভর্তি আছে মামলার বাকি আসামি গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইউপি সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যাচেষ্টার তিব্র নিন্দা জানিয়ে, হামলা কারিদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন দৌলতখান উপজেলার উচ্চ স্তরের লোকজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৫:৫৬ ১০৪ বার পঠিত |