ছোটন সাহা।।ভোলাবাণী।।বিশেষ প্রতিনিধি।।
ভোলার দৌলতখানে ‘করোনা ভাইরাস’ আক্রান্ত সন্দেহে হোম আইসোলেশনে রাখা সেই যুবকের করোনা ভাইরাস ধরা পড়েনি। শুক্রবার (২৭ মার্চ) সকালে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রন ও গবেষনা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে ওই যুবকের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে স্বাস্ত্য বিভাগ। ফলে জেলায় আপাতত ‘করোনা ঝুঁকিমুক্ত বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৪ মার্চ জেলার দৌলতখানে জ্বর, সর্দি, গলা ও শরীর ব্যাথা নানা উপসর্গ নিয়ে আসা এক রোগীকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিলো। সন্দেহ করা হয়েছিলো তিনি করনো আক্রান্ত হতে পারেন, তবে আমরা তার রিপোর্ট পেয়েছি, তার যে রিপোর্টটি নেগেটিভ এসছে। ফলে ওই রোগী আশংকামুক্ত। তবে গত কয়েকদিনে ঢাকা থেকে আসা মানুষের কারনে ফের ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে ভোলা। ওই সব মানুষেকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। এছাড়াও জেলার সার্বিক পরিস্তিতি সার্বিক ভালো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে ভোলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ১৪ জন সহ সর্বমোট ৩৮৯ জনকে হোম কায়োরেন্টিনে রাখা হয়েছে। যাদের মধ্যে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ১৪৮ জন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ভোলা সদর উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ১১১ জন, যাদের মধ্যে ১৪ দিন শেষ হয়েছে ৪৮জনের, দৌলতখানে ৪৯ জনের মধ্যে ৮জন, বোরহানউদ্দিনে ৩৮ জনের মধ্যে ২৩জন, লালমোহনে ৩৯ জনের মধ্যে ৩৯ জনের মধ্যে ১৫, চরফ্যাশনে ৫৪ জনের মধ্যে ২৬, তজুমদ্দিনে ৬৭ জনের মধ্যে ১৯ ও মনপুরা উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ৩১ জনকে মধ্যে ১১ জনের হোম কোয়েরেন্টিন শেষ হয়েছে।
এদিকে রোনা ভাইরাস ঝুঁকি এড়াতে জন সমাগম ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার থেকেই জেলায় নৌ বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে। জেলার দুরবর্তি চরগুলোতে খেয়া পারাপারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দেশের সাথে নৌ পথে পুরো জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে ফেরী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অনেকটা লকডাউনের মতই রয়ছে পুরো ভোলা।
শহরে মানুষের সমাগম অনেক কম দেখা গেছে, তবে সীমিত আকারে রিক্সা ও মটরসাইকেল চলতে দেখা গেছে। মার্কেট, শপিং মল বন্ধ রয়েছে, খোলা রয়েছে ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের জরুরী প্রয়োজনীয় দোকানগুলো।
করোনা ভাইরাস আতংকে বেশীরভাগ মানুষই বাড়িতে অবস্থান করছেন। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের টহল দেখা গেছে।
প্রতিষ্ঠানিক, হাসপাতাল কিংবা জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় একটি মোট ৭টি ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার আকিব ওসমান বলেন, জেলা প্রশাসনকে সহযোগীতা করতে নৌ বাহিনীর ২টি কন্টিজেন্ট মাঠে কাজ করছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় মাক্স ব্যবহার না করায় ১০ জনকে জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৮:১৮ ২৪৩ বার পঠিত |