ভোলাবাণী : ভোলার লালমোহন উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, মারধর, জখম ও বাসা-বাড়ীতে ভাংচুর চালিয়ে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে আ’লীগের নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ভোলা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দরা।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ২২ ফেব্রুয়ারী বুধবার বিকেল ৫টায় লালমোহন সদর বাজারস্থ করিম রোডে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনকে মারধর ও জখম করে। পুলিশ আহত রিয়াজকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য না পাঠিয়ে থানায় আটকে রাখে।
পরে পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনকে কুপিয়ে মৃত ভেবে পুকুরে ফেলে দেয়। এদিকে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন মালের বাড়ী ভাংচুর, লুটপাট, ছাত্রদলের আহ্বায়ক জসিম এর বাড়ী ভাংচুর, যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাটোয়ারী, হান্নান পাটোয়ারীর বাড়ী ভাংচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
রাত ৮টার দিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি কবির পাটোয়ারীর বাড়ী ঘরে হামলা চালায়।
এসময় তাদের হামলায় উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন অংগ-সংগঠনের অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। আহতদেরকে লালমোহন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা পর্যন্ত দিতে দিচ্ছেনা ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তারা গোপনে অন্যত্র চিকিৎসা নিচ্ছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ ট্রুম্যান লিখিত অভিযোগে বলেন, মাসুম, জুবায়ের, খোকন কমিশনার এর নেতৃত্বে আ’লীগের ক্যাডার বাহিনী ৫ ঘণ্টা ধরে লালমোহন বাজারে ও আশপাশের এলাকায় তান্ডব চালায়। এসময় পুলিশি সহায়তা চাওয়া হলেও কোন সহায়তা করেনি থানা পুলিশ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হাসান তৌফিক রীহিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জামিল হোসেন ওয়াদুদ, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা আঃ কাদের সেলিম, ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার আল-আমিন, লালমোহন পৌর বিএনপির সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সুমন প্রমূখ।
বাংলাদেশ সময়: ৯:১১:৩৩ ২৩১ বার পঠিত |