বোরহানউদ্দিনে শারিরীক অক্ষমতা উপেক্ষা করে তিন প্রতিবন্ধী ভাইয়ের সংগ্রামী জীবন

প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » বোরহানউদ্দিনে শারিরীক অক্ষমতা উপেক্ষা করে তিন প্রতিবন্ধী ভাইয়ের সংগ্রামী জীবন
রবিবার, ২৩ জুলাই ২০১৭



---

আবদুল মালেক।।ভোলাবাণী।।বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ
আমাদের সমাজে শারিরিক প্রতিবন্ধী মানে নিজে ভিক্ষা করবে পাশাপাশি পরিবারের আরেক জন সুস্থ্য সদস্যকে তার সহযোগিতার নামে প্রতিন্ধী কাতারে নাম লেখাবেন। এই যখন সমাজের চিত্র তার চিরাচরিত প্রথাকে চোখেঁ আঙ্গুল দেখিয়ে ভোলা বোরহানউদ্দিনের তিন সহোদর শারিরিক অক্ষমতা উপেক্ষা করে পৌর বাজারে ব্যবসা করে সংগ্রামী জীবন অতিবাহিত করছে। তাদের গ্রামের বাড়ী পক্ষিয়া ৮নং ওয়ার্ডে। তারা আর আট দশজন প্রতিবন্ধীর মতো কারো কাছে হাত পেতে জীবন চালায় না। নিজেদের কষ্টে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সংসার জীবন কাটাচ্ছে। কারো বোঝা হয়ে বেঁচে থাকতে রাজি নন তারা।
জানা গেছে, পক্ষিয়া ৮নং ওয়ার্ডের মৃত আ: বারেকের তিন ছেলে পৌর বাজারে পিছনে ব্যবসা করছে। তাদের মধ্যে একজন ১২ বছর বয়সে টাইফেড জ্বরে প্যারালাইসড হয়ে মো: নয়া মিয়া (৪০) হাত পা অকেজো হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে ক্রেঁচে ভর করে হেঁটে ছোট পরিসরে সপিং ব্যাগ সহ নানা রকম ব্যাগ বিক্রি করে জীবন যুদ্ধে নেমে পড়ে। তার ছোট ভাই মো: নাগর (৩০) বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি। সে বিদ্যুতের ফ্যানের কয়েল, মটর বাধাঁই করে জীবন জীবিকা চালায়। এছাড়া আরেক ছোট ভাই মো: শাহাজাহান (৩২) মানসিক সমস্যা থাকলেও তিনি ছোট পরিসরে চায়ের দোকান করে জীবিন চালিয়ে যাচ্ছে। আয় কম হলেও তারা কারও অনুগ্রহের মাধ্যমে বেচেঁ নাই এটাই তাদের সান্তনা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাদের বড় ভাই মো: নয়া মিয়া জানান, আমরা ব্যবসা করে জীবন চালাই, সমাজের অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের মতো হাত পেতে ভিক্ষা করলে সমাজে কখনও নিজেকে পরিচয় দেওয়ার অবস্থা থাকে না। তাছাড়া ভিক্ষুকদের সন্তান ও ভবিষ্যত প্রজম্ম সমাজে যুগ যুগ ধরে মানুষের অবহেলা ও ঘৃনা নিয়ে বেচে থাকতে হয়, এ ধরনের লাঞ্চনা ও নিজেকে সমাজের বোঝা না হয়ে অংশীদার ভেবে দায়িত্ববোধ থেকে নিজেদের চেষ্টা ও অধ্যাবস্যায়ের ফলে এখনও সমাজে টিকে আছি। তারপর সমাজের কিছু লোক আমাদের সংগ্রামী জীবনকে নানাভাবে তুচ্ছ করে, তারা চায় তাদের কাছে হাত পেতে অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের মত থাকি, এটা আমাদের মানসিকভাবে কষ্টদেয়। আমরাতো তাদের কোন সমস্যা করিনা তবু কেন তারা আমাদের বিরক্ত করে। ব্যবসা করতে গিয়ে পুজিঁ সল্পতার সমস্যার কথা বলে তিনি জানান, যদি সরকারী কোন সহযোগিতা পাওয়া যায় তাহলে আমাদের জীবন যুদ্ধ কিছুটা হলেও সহজ হবে বলে দাবী করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫৮:৪১   ৩৯০ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

বিশেষ প্রতিবেদন’র আরও খবর


দক্ষিণ আইচায় স্কুল ছাত্র নয়নের রিমোট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত লঞ্চ ভাসছে পানিতে
দেশে অর্ধেকের বেশি নারীর বাল্যবিয়ে হয়’
টাঙ্গাইল শাড়ি চিনবেন কীভাবে
ভোলায় চলছে জাটকা নিধন ॥ ইলিশের উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা
ভোলায় শৈত্যপ্রবাহে হাঁড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপন্ন
ভোলার বন্ধন হেলথ কেয়ার চালু করল অনলাইন নার্সিং হোম সার্ভিস
দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে স্কুল উধাওচরফ্যাশনে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
পরিবারিক ভ্রমণের জন্য ৪ টিপস
তজুমদ্দিনে সরকারি নলকূপ অকেজো, গরমে তীব্রতায় পানি সংকট।
ভোলায় আরো ৫ কূপ খননের পরিকল্পনাদেশর ২৯তম গ্যাস ক্ষেত্রর মর্যাদা পেয়েছে ইলিশা-১ কূপ।

আর্কাইভ