স্টাফ রিপোর্টার ॥ভোলাবাণী।।
আগামী জুন অর্থবছরের পরে ভোলায় লাশ গোসলের আধুনিক স্থাপনা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক মোঃ আরিফুজ্জামান। জেলা প্রশাসক কার্যালয় সোমবার (৬ মে) সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সাথে আলাপচারিতায় জেলা প্রশাসক এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক আজকের ভোলা পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ শওকাত হোসেন, সাংবাদিক মোবাশ্বিরউল্লাহ চৌধুরী, হাফেজ বনি আমিন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকগণ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, বিবার মানবতার দেয়াল এর কর্মকর্তা, জেলা স্কাউটস কর্মকর্তা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাসহ ভোলার সুধী সমাজের নেতৃবৃন্দ।
আলহাজ্ব শওকাত হোসেন এবং মোবাশ্বেরউল্লাহ চৌধুরীর প্রস্তাবে ভোলা বাংলা স্কুল পুকুর এবং ভোলা খালসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়। আলাপচারিতায় জেলা প্রশাসক বলেন, ভোলা বাংলা স্কুলের পুকুরের সংরক্ষণ এবং এর সীমানা নির্ধারণ করে সেখানে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ কতবার ঘন ঘন পিলার দিয়ে প্রাচীর তৈরি করা যেতে পারে। তিনি এ ব্যাপারে সীমানা নির্ধারণের জন্য এসিল্যান্ডকে নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, আমি আপনাদের জেলা প্রশাসক হিসেবে সকলের কথা শুনে জনস্বার্থে বিভিন্ন বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে চাই। এ ব্যাপারে আপনাদের সুপরামর্শ ও সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ আপনারাই পারেন সমাজকে সুন্দর করার জন্য ভালো উদ্যোগ এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে।
ভোলার খালটিকে ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কারণ আমি লক্ষ্য করেছি এই খালটি আস্তে আস্তে ভরাট হয়ে ড্রেনে পরিণত হচ্ছে। এ বিষয়ে আপনারা জেলা পরিষদ এবং পৌরসভার সাথে সমন্বয় করে আরো সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারেন। কিন্তু এ দায়িত্ব আপনাদের ভোলার মানুষের।
আলাপচারিতার এক পর্যায়ে মনিরুল ইসলাম প্রস্তাব করেন, আমাদের ভোলা জেলায় লাশ গোসলের আধুনিক কোন স্থাপনা নেই, যেখানে গরম পানি থাকবে পানি নিষ্কাশনেরও ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি লাশ রাখার কোন হিমাগারও নেই, বরফ দিয়ে রাখা হয়। সুতরাং লাশ রাখার হিমাগার অথবা এসি এ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন। জেলা প্রশাসক আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম ভোলা শাখার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তাৎক্ষণিক আলোচনা করে অশ্বাস দেন, সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে এটিও সম্ভব। আগামী জুন অর্থবছরের পরে আপনারা যোগাযোগ রাখলে আমরা লাশ গোসলের জন্য আধুনিক একটি স্থাপনা করে দেবো। সকলের আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় স্থাপনাটি হবে আলিয়া মাদ্রাসার পাশে আনজুমান মফিদুল ইসলামের লাওয়ারিশ লাশ দাফনের পৌর গোরস্থান ও আনজুমান ইসলামিক কমপ্লেকসে। জেলা প্রশাসক বলেন জুনের পর এ বিষয়ে আপনারা আমার সাথে যোগাযোগ রাখবেন। পরিশেষে ভোলার সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ৮:৪৮:৫১ ১২৮ বার পঠিত |