।।ভোলাবাণী।। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। রাজনৈতিক পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাশাপাশি ঢাকা-কুয়াকাটা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় বিগত বছরগুলোর থেকে এবার কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপস্থিতি বেশি বলে জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
পর্যটকদের উন্মাদনায় সৈকতে আনন্দময় পরিবেশ বিরাজ করছে। কুয়াকাটা রাখাইন মার্কেট, ঝিনুকের দোকান, খাবারঘর, চটপটির দোকানসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। ঈদের ৩য় দিন বুধবার সকাল থেকে বাস, টেম্পু, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসযোগে দলে দলে পর্যটক আসতে শুরু করেন।
নারিকেল বাগান, ইকোপার্ক, জাতীয় উদ্যান, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, সীমা বৌদ্ধবিহার, সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চল খ্যাত ফাতরার বনাঞ্চল, ফকির হাট, গঙ্গামতির চর, কাউয়ার চর, লেম্বুর চর, শুটকি পল্লী ও সৈকতের জিরো পয়েন্টে শিশু কিশোর যুবক যুবতীসহ নানা বয়সী পর্যটকদের পদভারে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা এখন মুখরিত।
কুয়াকাটায় আগত পর্যটক অ্যাড. সৈয়দ কিশোর জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের ছুটি কাটাতে আমিসহ আমার বন্ধুরা এখানে এসেছি। সত্যি সৈকতের অপরূপ দৃশ্য দেখে অসাধারণ লাগছে।
ঢাকা থেকে স্ব-পরিবারে কুয়াকাটায় ঘুরতে আশা ব্যবসায়ী সোহেল জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের ছুটি কাটাতে আমরা এখানে এসেছি। বিচ ও শহরের পরিবেশ ভালো তবে আরও উন্নত হলে ভালো হতো।
আবাসিক হোটেল কিংস এর স্বত্তাধিকারী রানা হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, পর্যটকদের আগমনে এখানকার হোটেলগুলো কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে পেয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরির্দশক মো. হারুন অর রশিদ নিউজকে বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আমাদের পুলিশ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটে টহল দিচ্ছে।
পটুয়াখালী চেস্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা-কুয়াকাটা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় বিগত বছরগুলো থেকে এ বছর পর্যটকদের উপস্থিতি বেশি। এবছর ঈদ মৌসুমে পর্যটন শহরকে কেন্দ্র করে শত কোটি টাকার লেনদেন হবে।
তবে বিচ ও পর্যটন শহরের পরিবেশ আরো উন্নত করার দাবি জানিয়েছেন আগত পর্যটকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৩:০০ ২৮১ বার পঠিত |