ভোলাবাণী: বৃষ্টি নামার সম্ভাবনার কথা আগেই জানানো হয়েছিলো। ম্যাচ শুরুর আগে সেই সম্ভাবনা বাস্তবে রুপ নিলো। বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার যখন মাঠে নামতে প্রস্তুত, তখনই বৃষ্টির হানা। এ যাত্রায় বেশিক্ষণ ঝরেনি প্রকৃতির কান্না। নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পরই ম্যাচ শুরু হয়। কিন্তু ম্যাচের ৩১.১ ওভারে শুরু হওয়া বৃষ্টির দাপটই আলাদা। যে দাপটে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন আম্পায়াররা।
ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। শুক্রবার ডাবলিনের মালাহাইড স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ১৫৭ রান, তামিম ৬৪ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪৩ রানে ব্যাট করছিলেন।
চলছিলো ৩১.১ ওভারের খেলা। এমন সময় জোরে শোরে ঝরতে শুরু করে বৃষ্টি। মুহূর্তেই মাঠ ফাঁকা। অপেক্ষায় দুই দল। কিন্তু বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া সাতটা থেকে রাত পৌনে দশটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও কাজ হয়নি। অবশেষে ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় ৯টা ৫০ মিনিটে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
বৃষ্টির হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় টস জিতে ফিল্ডিং নেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। বৃষ্টি থেকে সুবিধা তুলে নিতে দেরি করেননি আইরিশ পেসার পিটার চেস। দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেন ওপেনার সৌম্য সরকারকে। সাব্বির রহমান উইকেটে এসেই ভীতি ছড়াতে চাইলেন। কিন্তু তার নেয়া শট আকাশে ভাসলো। টিম মারটাগের কোনো সমস্যাই হয়নি ক্যাচটি লুফে নিতে। এবারো শিকারি চেস।
নয় রানেই নেই দুই উইকেট। বাংলাদেশ শিবির তখন টালমাটাল। তামিম ইকবালের সাথে যোগ দিয়ে মুশফিকুর রহিম এই চাপ কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করলেন। কিন্তু লড়াইটা দীর্ঘ হলো না। ১৩ রান করে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে মুশফিকও। মাশরাফি বিন মুর্তজার অবর্তমানে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা সাকিব আল হাসানও দলের দুঃসময়ে ব্যাট চালাতে ব্যর্থ এদিন।
মুশফিকের মতোই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ১৪ রান করা সাকিব। অধিনায়ক হিসেবে ৫০তম ওয়ানডে খেলতে নামা সাকিবের উইকেটটিও নিজের ঝুলিতে পুরে নেন পিটার চেস। এরপর বাংলাদেশের ইনিংসের চেহারা ধীরে ধীরে বদলে দিয়েছেন তামিম ও মাহমুদউল্লাহ। আসা যাওয়ার মিছিলের মাঝেও ঠান্ডা মাথায় পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সাথে ৮৭ রানের জুটি গড়ে তোলেন তামিম।
চাপ কাটিয়ে তুলে এই দুই ব্যাটসম্যান ব্যাট করছিলেন। কিন্তু হঠাৎই থাবা বসায় বৃষ্টি। আর মাঠে নামা হয়নি। তবে বৃষ্টির আগেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৬৪ রানে অপরাজিত থাকা তামিম। ৭৬ বলে সাত চারে পূর্ণ করেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৫তম হাফ সেঞ্চুরি। এই হাফ সেঞ্চুরি করে তামিম পেছনে ফেলেন সাকিবকে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪টি করে হাফ সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন তামিম-সাকিব।
লড়াকু এই হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে সাকিকে টপকে গেলেন তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম। মাহমুদউল্লাহও এদিন দারুণ ব্যাটিং করেছেন। দলের অবস্থা বুঝে ঠান্ডা মাথাতেই ব্যাট চালিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ডানহাতি অলরাউন্ডার। বৃষ্টি হানার আগ পর্যন্ত ৫৬ বলে চার চার ও এক ছয়ে ৪৩ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৩ রান খরচায় তিন উইকেট নেন আইরিশ পেসার পিটার চেস।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৯:১৯ ১৫৩ বার পঠিত |