ফেরী সংকটের কারনে ভোলা-লক্ষীপুর রুটের উভয় পাড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
ঘাটে ২/৩ দিন অপেক্ষা করেও ফেরীর দেখা পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। তিনটি ফেরীরস্থলে বর্তমানে দুইটি ফেরী চললেও কোন মতেই লাইনজট কমছে না।
ফলে বৈরী আবাহওয়ায় কাচামালসহ অনান্য মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ঘাটে অপেক্ষমান এসব যানবাহনের। তবে খুব শিগ্রই আরো একটি ফেরী দেয়ার কথা জানিয়েছে বিআইডব্লিটিসি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বরিবার সন্ধা পর্যন্ত ইলিশা ঘাটে প্রায় ১০০টি এবং লক্ষীপুরর মজুচৌধুরীরহাট ঘাটে ৮০টি যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ছিলো। এ সময় শ্রমিকদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, দ্বীপজেলা ভোলার সাথে দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সহজ যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ভোলা-লক্ষীপুর ফেরী সার্ভিস। দেশের দীর্ঘতম এ ফেরীর রুট দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক, মালবাহী পরিবহন ও বাস চলাচল করছে। কিন্তু বর্তমানে ফেরী সংকটের কারনে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
আগে এখানে তিনটি ফেরী চলাচল করলেও গত ২২ এপ্রিল থেকে একটি ফেরী নিয়ে অন্যত্র নিয়ে যায় ফেরী কর্তৃপক্ষ। ফলে দুইটি ফেরী দিয়ে ঠিকমত যানবাহন পারাপার হচ্ছে না। এতে ভোলা অংশের ইলিশা ঘাটে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যারফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
চাল নিয়ে বেনাপোল থেকে আসা ট্রাক ট্রালক মো: ইউনুস বলেন, চারদিন ধরে ঘাটে অপেক্ষায় রয়েছি কিন্তু কোন লাইন পাচ্ছি না, কবে গন্তব্যস্থল চট্রগ্রাম যাবো তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
ট্রাক ট্রালক কামাল বলেন, তিন আগে ইলিশা ঘাটে এসে বরেস রয়েছি, আগে তিনটি ফেরী চলছে কিন্তু এখন দুটি ফেরী চলাতে লাইনজটে আটকে আছি। এদিকে বৈরী আবহাওয়াতে ডাল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একইভাবে ঘাটের চালক ও শ্রমিক মিলন, মাহবুব, হাসান মিয়া ও পিন্টুসহ অনেকেই জানান, তারা নারিকেল, সুকনো বড়ই, পাট ও সিলিন্ডার গ্যাস নিয়ে এসেছেন। কিন্তু ফেরী সংকটের কারনে ৩দিন ধরে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছেন, কবে পার হবে পারবেন তা নিয়েই টেনশনে তারা।
শ্রমিকরা জানালেন, মালামাল পরিবহন করে যে টাকা পাওয়া যাবে তার বেশী খরচ হয়ে যাচ্ছে, এতে কিভাবে পরিবার পরিজনকে খরচের টাকা দিবো। এ দুটে চারটি ফেরীর দরকার হলেও চলছে মাত্র দুটি। আমাদের দাবী অতি দ্রুত যেন আরো দুটি ফেরীর ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ।
কয়েকজন চালক অভিযোগ করে বলেন, ঘাটে একের পর এক সমস্যা থাকলে যাত্রী কিংবা পরিবহন সেবা বাড়ানো হয়নি। দিনে দুটি ট্রিপ দিয়ে ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এতে ঘাটে দর্ঘি লাইন জটের সৃষ্টি হচ্ছে।
দক্ষিনাঞ্চলের গুরুপ্তপূর্ন এ রুটটিতে চারটি ফেরীর প্রয়োজনীয়তা থাকলেও কখনও ২টি কিংবা ৩টি ফেরী চলাচল করছে। এতে একের পর এক বিপর্যয়ের মুখে পড়ছেন এ রুটের যাত্রীরা ও পরিবহন শ্রমিকরা।
এ ব্যাপারে ভোলা-লক্ষীপুর ফেরীর বিআইডব্লিটিসি ম্যানেজার আবু আলম বলেন, জরুরী প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ একটি ফেরী চাদপুর নিয়ে গেছে, যে কারনে লাইজনের সৃস্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে খুব শিগ্রই ভোলা-লক্ষীপুর রুটে আরো একটি ফেরীর দেয়ার কথা বিআইডব্লিটিসি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, ফেরী আসলে এ জট থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৩:৩২ ২৮১ বার পঠিত |