ভোলাবাণী।।চরফ্যাশন অফিস॥
চরফ্যাশন উপজেলায় হিমেল বাতাসে ও মিষ্টি রোদে মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে বোরো ধানের শীষ। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ। সবুজ আভা কেটে হলুদ বরণ ধারণ করতে শুরু করেছে ধানের শীষগুলো। বোরো ধানের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। শুরু থেকে এ পর্যন্ত আসতে কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ঝরেছে। প্রতিটি মাঠ এখন কৃষকের সবুজ স্বপ্ন ছেয়ে গেছে এবং তাদের মুখে হাসিও ফুটেছে। কিš‘ সেই হাসির মধ্যে কৃষকের কপালে একটু হলেও চিন্তার ভাঁজ ফেলতে শুরু করেছে বিরুপ আবহাওয়া। চলতি মাসেই ঘূর্ণিঝড় অশনি ও প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাই দুশ্চিন্তা আর হতাশায় রয়েছেন কৃষকরা। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত না হানলে বোরে ধানের বেশ ভালো ফলন হবে। ঝড়ের আশংকায় বেশ কয়েকটি যায়গা আধা পাকা ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা।

এছাড়াও ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রস্তততা বাড়ানোর কাজ চলছে। তাই পুরাতন সেতু ও কালভার্ট নতুন করে নির্মান করার জন্য খালে বাঁধ দিয়েছে। বোরো চাষের জন্য প্রচুর পানির প্রয়োজন। ফলে পানি না থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বার্ষিক ৮৫ হাজার ১৯২ হেক্টর আবাদি জমি ও ৩ হাজার ৩৩৭ হেক্টর অনাবাদি জমি রয়েছে। চলতি মৌসুমে ৮১ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।
উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের চাষি মোঃ মনির হোসেন জানান, আবহাওয়া ভালো থাকলে বোরো ধানের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধান প্রায় পাকা শুরু করেছে। এ বছরে আমন ধানেও ব্যাপক লাভবান হয়েছি। গত কয়েক বছর বোরো ধানে তেমন লাভজনক হয়নি।
আহাম্মদপুর ইউনিয়নের চাষি মোহাম্মদ হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বোরো ধানের ফলন ভালো আশা করা হচ্ছে। ধান ঘরে তোলার আগেই যদি কোন না কোন দুর্যোগ হয় তাহলে দুর্ভোগ পোহাতে হবে আমাদের। সার-ঔষাধের দাম বেশি। আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলন হলে লাভবান হবো।
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আবু হাসনাইন জানান, প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত না হানলে বোরে ধানের বেশ ভালো ফলন হবে। উপ-সহাকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত কাজ করছেন। কৃষকদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছি। কয়েকটি স্থানে আধা-পাকা ধান কাটা শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:২৪:৪৩ ১৫৯ বার পঠিত |