শীতের আগমনে অতিথি পাখিদের কলতানে মুখরিত ভোলার চরাঞ্চল

প্রথম পাতা » ভোলার পর্যটন » শীতের আগমনে অতিথি পাখিদের কলতানে মুখরিত ভোলার চরাঞ্চল
শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬



---নিজস্ব প্রতিনিধি॥ভোলা বাণী: শীতের আগমনে অতিথি পাখিদের কলতানে ভোলার উপকূলীয় চরাঞ্চল মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রকৃতিতে লেগেছে তার নান্দনিক ছোঁয়া।

অতিথি পাখিদের উড় উড়ি আর চিক চিক শব্দে সাজ সাজ রব করছে। বৃহত্তম দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, চর কুকরি-মুকরি ও পর্যটন কেন্দ্র তারুয়া বিচ সহ মনপুরা উপজেলার ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে এখন পাখিদের হাট বসেছে।

বিচিত্র পাখ-পাখালির মধুময় কলতানে প্রতিদিন মুখরিত হয়ে উঠেছে এখানকার জনপদ। বছর জুড়ে তারুয়ার ৭ কিলোমিটার বিচ জুরে হরেক রকম পাখির কল কাকলীতে সরব থাকলেও, শীতে যেন নতুন প্রাণ পায় এ সকল অঞ্চলের পাখিরা।

আবার এদের সঙ্গে যোগ হয় সাইব্রেরিয়াসহ পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে আগত পাখির দল। ইতোমধ্যে হাজারও প্রকৃতি প্রেমীকে আকৃষ্ট করেছে তারুয়া বিচের বিচিত্র বর্ণিল অতিথি পাখিরা।

জেলার চরফ্যাশন উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে ঢালচর ইউনিয়ন।

বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে ঢালচর থেকে পূর্ব দিকে চর শাহজালাল ও চর আশরাফের তারুয়া বিচ। জন-মানবহীন গহীন অরণ্যাবৃত তারুয়ার বিচ যেন পাখিদের এক সবুজ অভয়ারণ্য। তারুয়া বালুর বিচ প্রকৃতির এক অপূর্ব নিদর্শন। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে অপরুপ সুন্দর এ চরাঞ্চলটিকে ঘিরে রেখেছে জলদস্যুরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে জানান, মনপুরা কালকিনি, নিঝুমদ্বীপসহ আশপাশের নদীতে ডাকাতি করে এখানে এসে আশ্রয় নেয় জলদস্যুরা। তারুয়ার নির্জন বনটিকে জলদস্যুরা নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করে। ফলে পর্যটকরা বরাবরই এ অঞ্চলটিকে এড়িয়ে চলে। এ ব্যাপারে নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এখানে আইন শৃঙ্খলার কোনো উন্নতি হয়নি। ফলে সর্বদাই এক ধরনের অজানা আতঙ্ক বিরাজ করে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় চর তারুয়া, কুকরী মুকরী দ্বীপ নিয়ে প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য সহ অতিথি পাখির সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর পর্যটন পিপাসুরা অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই তারুয়ার বীচে আসতে শুরু করে। কুকরী ও তারুয়াতে অতি সম্প্রতি ভ্রমনে আসা প্রকৃতিপ্রেমী বন সংরক্ষক সুনিল কুমার কুন্ড জানান, ভোলার চরফ্যাসনে তারুয়া দ্বীপে হাজার হাজার পাখির বিচরণক্ষেত্র। দেশে এমন দৃশ্য বিরল।

চরফ্যাশন থেকে ছেড়ে চর কচ্ছপিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের নৌকায় সহজে যাওয়া যায় তারুয়ার দ্বীপে। কুকরী মুকরী বালুর- ধুম অভিমুখে নদীর স্বচ্ছ জলরেখায় সূর্যের আলোতে নীলাকাশ পানিতে যেন থই থই করছে আর চারদিকে সারি সারি ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের অপরুপ দৃশ্য প্রকৃতির এক অপরুপ লীলাভূমি।

পর্যটন দ্বীপ কুকরী মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হাসেম মহাজন বলেন, কুকরীতে পূর্নাঙ্গ পর্যটনের ঘোষণা আগামী জানুয়ারীতেই আসতে পারে। ইতিমধ্যে পর্যটনদের থাকার জন্যে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক মোটেল জানুয়ারীর ২য় সপ্তাহে বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব উদ্বোধন করবেন।

এছাড়া পাখির বিচরণ কেন্দ্র জনমানবহীন তারুয়া পর্যটন এলাকায় সরকারিভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হলে পর্যটকদের আরো সমাগম হইবে। শীতের এ মৌসুমে পর্যটন পিপাসুরা ইতোমধ্যে তারুয়া সহ ঢালচর ও কুকরি মুকরি পর্যটন এলাকায় আসতে শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১:০৫:৫৬   ৩৬১ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ভোলার পর্যটন’র আরও খবর


চর কুকরি মুকরি দ্বীপঈদের পর বেড়াতে যাবেন যেখানে
ভোলায় বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
নতুন সাজে সেজেছে ইলিশার মেঘনা রিসোর্ট
বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে প্রকৃতির এক বিশ্বয় ঈদে ‘ঘুরে আসুন সুন্দরবন খ্যাত “চর কুকরি মুকরি দ্বীপ”
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কিভাবে বাংলাদেশের অংশ হলো
প্রকৃতির এক বিশ্বয় কুকরী-মুকরীবঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে বাঁকে বাঁকে সুন্দরবন।
বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অপরুপ সাজে তারুয়া সমুদ্র সৈকত মন কেড়েছে পর্যটকদের
তজুমদ্দিনে টেকশই বেড়িবাঁধ নির্মাণ,অপরূপ সৌন্দর্যের হাতছানি।
ঈদে ‘ঘুরে আসুন বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে প্রকৃতির এক বিশ্বয় “চর কুকরি মুকরি দ্বীপ”
মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রুপালী দ্বীপ মনপুরা

আর্কাইভ