কবিঃ নায়লা পাইলট।।
বায়ান্ন বাংলা ভাষা দিয়েছে মোদের
মুষলধারে রক্তের বৃষ্টি হয়েছিল ঢাকার রাজপথে শত শত মায়ের বুক হয়েছিল খালি
রক্তের ফোঁটায় ফোঁটায় রয়েছিল অশ্রু আমাদের।
অ,আ,ক,খ,ঘ রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই অগ্নপাত
শহীদ বরকত,সালাম,জব্বার আরো অনেকের, বাংলা ভাষার তীব্র শ্লোগানের শিলাবৃষ্টি রক্তপাত
আঘাতে আঘাতে ধুয়ে মুছে গেলো উর্দু ভাষা ধূলিসাৎ।
এক একটি অক্ষর মোদের দিলেন প্রকৃতি
বুকের রক্ত পেলাম মোরা সারা বিশ্বে স্বীকৃতি,
দানবেরা রয়ে গেল ধিক্কৃত
দিয়ে গেলেন শহীদরা ভাষা মোরা হলাম উপকৃত।
আমি আজ সেই বাংলা ভাষার কথা বলছি,
আজ আমার বাংলা ভাষাতে অশ্লিতা
অশুদ্ধ মিলে গরমিলের আকাশ যেন ক্ষিপ্ত
রক্তাক্ত একুশ গোলাপের ডালে ডালে ফোটে,
নীরবে হাকাকার বুকে রক্তিম ঘলাটে।
পলাশ কৃষ্ণচূড়া লালে রাঙিয়ে স্মরণ
শহীদের রক্ত লাল হলো অমরত্ব পেল মরণ,
একুশ শহীদ মিনারে স্মৃতি চিহ্ন নিয়ে নব যুকক যুবতীকে করছে বরণ
শহীদ মিনার পবিত্র করি কেন বার্ষিক
ফুলে ফুলে উৎসব পালন হয় আনুষ্ঠানিক।
বক্তব্য, স্মৃতিচরণ পথশিশুরা বেচে সাদা কালো
পতাকা
আজ একুশে ফেব্রুয়ারি মাসে রয় শুধু রক্তে ছবি আঁকা,
রক্ত রঞ্জিত লাল শার্ট আজ ও রয়েছে বুকে লেখা
জমজমাট কবিতার উৎসব পালিত রেখা।
একুশে ফেব্রুয়ারি বই মেলার প্রেমিক প্রেমিকার শুধু উৎসব মূখর মিলন মেলা আনন্দে আত্মাহারা,
মাথায় ফুলের সাজে হাত ধরা
যুগলের পদচারণায় মুখরিত বিবেকহারা ওরা কারা।
বই শূন্যতা ভরপুর করে না বুক সেল্ফের মাঝে ব্যক্তিত্বের শোভাবর্ধক হয়ে ড্রয়িংরুমে সাজে
সালাম,বরকত, জব্বার, এখন যেন এ যুগে সবাই ভুলে গেছে
শহীদের আত্মত্যাগের কথা হারিয়ে ফেলেছে।
বইয়ের পাতা মুখস্হ করে জরাজীর্ণতায়
এ প্রজন্ম, ভাষাকে কবর দিল আধুনিকতায়, বিদেশি ভাষা শিখে যাকে আমি বলি বাংলিশ
সাধু, চলিত আজ কবিতায়, গল্প আর উপন্যাসে করছে ফোকাস মালিশ।
শ্রদ্ধা করব , শহীদের লাল রক্ত অপমানিত হবে
না বাংলা ভাষা শুদ্ধ উচ্চারণ মোদের হৃদয়ে রবে,
প্রজন্ম আমাদের সন্তানকে শিখাবে
শহীদ মিনারে ফুল দিব, এসো সবাই শহীদের বিদেহী আত্মার প্রার্থনা করবে।
সবশিশুকে দেব বাংলা ভাষার সঠিক অক্ষর জ্ঞান
শুদ্ধ উচ্চারনে হোক শহীদের কিঞ্চিৎ শোধ ঋন,
মোরা অর্জন করব শত কোটি ধন
এতো সাধনার ফল সব প্রত্যাশা করছে মন।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৩:৩৯ ৩২৯ বার পঠিত |