ভোলাবাণীঃ
“তর্জনী এনেছে স্বাধীনতা”
-কবি নায়লা পাইলট
………………………………………………..
একটি তর্জনীর হুংকারে
ছিনিয়ে নিয়ে আসে স্বাধীনতা ঝংকারে,
জনস্রোতে জেগে ওঠেছিল প্রাণ
ভাসমান ছিল রেসকোর্স ময়দান।
তাজা হ্রদয়ের রক্তে লেখা ছিল
স্বাধীনতার দীপ্ত শ্লোগান,
বন্ধ হয়েছিল রক্তের হোলিখেলা
সব স্তব্ধ পাকিস্তানির ছলাকলা।
জাগ্রত শব্দ ধ্বনিতে প্রকম্পিত ভূতল।
তর্জনীর হুংকার ঐক্যবদ্ধ জনতার কম্পিত বাহুবল।
পরাধীন শৃঙ্খল হতে মুক্ত
তর্জনীর গর্জন ছিল শক্ত।
বাঙালির মুক্তির আশা হ্রদয়ের বাগানে
ফুল হয়ে ফোটে,
জেগে ওঠে গর্জনের কন্ঠে।
লাখো কন্ঠের সাথে মিশে একাকার
একটি কন্ঠ নিরাকার।
জ্বলে উঠে প্রতিবাদের বহ্নিশিখা
ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে থাকে লিখা।
একটি কন্ঠের আর তর্জনীর ইশারায়
ভাঙে কারার শিকল আশায়।
ভেঙে ফেলে শিকল
প্রজ্বলিত হয় লাখো মানুষের মনোবল।
তর্জনীর হুংকারে দুর্গ হলো ঘর
স্বাধীনতার আন্দোলন প্রানের ছিল না ডর।
এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম বলে
একটি তর্জনী উঠল কেঁপে,
স্বাধীনতার নেশায় জনতার মুক্তির জোয়ারের,
জোয়ারের নেশায় প্রতিবাদে রক্ত দিল ঝেপে।
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে
উদিত লাল সবুজের পতাকা।
একটি তর্জনী এনে দিল মুক্তি ;
এনে দিল বাংলার স্বাধীনতা ।
ভুলতে চাই না একটি তর্জনীর গর্জন
এ কন্ঠে দরদ মাখা স্বজন।
সব ভেদাভেদ ভুলে এক করেছিল কম্পিত ভূমি
এ তো আমার স্বাধীন মাতৃভূমি।
ছাড়ো স্বৈরাচারীতা
তর্জনী এনেছে স্বাধীনতা।
বাংলাদেশ সময়: ১২:০৮:১৪ ৩৫৯ বার পঠিত |