ভোলাবাণী।।দৌলতখান প্রতিনিধি।।
ভোলার দৌলতখানে ৮ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করলো এক প্রধান শিক্ষক মিজান শরীফ। সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে দৌলতখান উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, ফারজানা আক্তার, নিলা আক্তার, নিলুফা আক্তার, রাবেয়া আক্তার, আরিফা আক্তার, হাফসা, সোনিয়া, মোঃ রাশেদ, অটো ড্রাইভার জামাল উদ্দিন। এঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মিজান শরীফকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব নলগড়া দাখিল মাদ্রাসার ৮জন এসএসসি পরীক্ষার্থী অটোরিকশা যোগে আবু আবদুল্লাহ কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রওনা দেয়। পথিমধ্যে শরীফ বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজান শরীফ অটোরিকশাটি থামিয়ে উঠার চেষ্টা করে। অটোতে যায়গা না থাকায় ড্রাইভার অটো না থামিয়ে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে চলে যায়। প্রধান শিক্ষক মিজান শরীফ ক্ষিপ্ত হয়ে অটোরিকশার পিছু নেয়। পরীক্ষা শেষে ৮জন পরীক্ষার্থী ওই অটোরিকশা যোগে বাড়িতে রওনা হয়। অটোরিকশাটি জয়নগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে লিটন চেয়ারম্যানের ঘেরের কাছে আসলে প্রধান শিক্ষক মিজান শরীফ ও তার সাথে থাকা আরেক শিক্ষক অটোটি থামিয়ে ড্রাইভার জামাল উদ্দিনকে এলোপাথারী মারধর করে। এসময় পরীক্ষার্থীরা মিজান শরীফকে বাঁধা দিলে ফারজানা আক্তার, নিলা আক্তার, নিলুফা আক্তার, রাবেয়া আক্তার, আরিফা আক্তার, হাফসা, সোনিয়া, মোঃ রাশেদ কে এলোপাথারী মারধর করে। এতে পরীক্ষার্থী ফারজানা আক্তার ও ড্রাইভার জামাল উদ্দিন গুরুত্বর আহত হয়। জামাল উদ্দিনের হাত ভেঙ্গে যায় বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে গুত্বর আহত ফারজানা আক্তার ও ড্রাইভার জামাল উদ্দিনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দৌলতখান থানা পুলিশ অভিযুক্ত মিজান শরীফকে সন্ধ্যায় আটক করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মিজান শরীফ এর ব্যবহারিত ০১৭১২০৬১৯০৬ নাম্বারের যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপাারে দৌলতখান থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। পরে অভিযুক্ত মিজান শরীফকে আটক করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৫:৪১ ২৫৩ বার পঠিত |