ভোলা বাণী ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত হত দরিদ্রদের খাদ্য বান্দব প্রকল্প পরিচালনাধিন ১০টাকা মূল্যের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম করছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের মিনা বাজারের চালের ডিলার ইমরান হোসেন। সে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল-ইমরান প্রিন্স, উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীন ও এলাকার ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বীর দর্পে চালিয়ে যাচ্ছে তার এ অবৈধ কর্মকান্ড।

গত ২৫ নভেম্বর শুক্রবার ইউনিয়নের মিনা বাজারে গেলে দেখা যায়, সে এলাকার হতদরিদ্রদের কাছ থেকে ৩০ কেজি চালের জন্য ৩০০ টাকা করে নিয়ে বালতি ভরে চাল বিতরণ করছে। বিতরণকৃত চাল ওজন করে দেখা গেছে প্রতি বস্তায় ২৪ কেজি করে চাল রয়েছে।
হত দরিদ্রদের মধ্যে আবদুল্লাহপুর ৬ নং ওয়ার্ডের মরিয়ম বিবি, রাহেলা খাতুন, আবদুর রহীম, মোকলেছুর রহামান, নাজমা বেগমসহ একাধিক লোক অভিযোগ করে জানান, এ চালের কার্ড পাওয়ার জন্য আমরা ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ফাতামা বেগমকে ১৫শত টাকা করে দিতে হয়েছে। কিন্তু এ মাসে ও গত মাসে ৬০ কেজি চালের জন্য ডিলার ইমরানকে ৬০০টাকা দিয়ে থাকলেও আমরা চাল পেয়েছি ৪৮ কেজি করে।
ওই এলাকার স্কুল মাস্টার রফিকুল ইসলাম জনান, এলাকার হত দরিদ্ররা চালের কার্ড পাওয়ার জন্য মহিলা মেম্বারকে কার্ড প্রতি ১৫শত টাকা করে দিতে হয়েছে। বর্তমানে আবার তারা ৩০ কেজি চালের জন্য ৩০০টাকা করে দিচ্ছে কিন্তু তারা চাল পাচ্ছে ২৪/২৫ কেজি করে। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পরিচালিত এ প্রকল্পের এত বড় দূর্ণীতি দীর্ঘ দিন যাবৎ ইউনিয়নের ডিলারসহ চেয়ারম্যান-মেম্বাররা বীর দর্পে করে আসছে।
এ বিষয়টি প্রতিরোধ করার মতো প্রশাসনের কোন লোক এখন পর্যন্ত এগিয়ে আসেনি। এ ব্যাপারে ডিলার ইমরান জানায়, চেয়ারম্যান যে ভাবে বলছে আমি সে ভাবে চাল বিতরণ করে আসছি। আর মিডিয়া কর্মীরা আমার কিছুই করতে পারবে না কারণ আমি ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীন আমার সাথে আছে।
আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আল-ইমরান পিন্স জানান, ডিলার ইমরানের অনিয়মের কথা আমি শুনেছি, তাকে বার বার বলা সত্যেও সে এ অনিয়ম করেই আসছে।
চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী অফিসার মনোয়ার হোসেন জানান, এ ব্যাপারে এর আগে কেউ অভিযোগ করেনি। ডিলার ইমরানসহ যারা এ দূর্ণীতির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩২:০৪ ১৩৪ বার পঠিত |