অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে লালমোহন লঞ্চঘাট ।

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে লালমোহন লঞ্চঘাট ।
শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০১৭



---মোঃ আমজাদ হোসেন ।।ভোলাবাণী।। লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনের তেঁতুলিয়া নদী থেকে অবৈধভাবে খননযন্ত্রের সাহায্যে বালু তোলা হচ্ছে। এ কারণে উপজলোর পশ্চিম চর উমদে ইউনিয়নের গজারিয়া খালগোড়া লঞ্চ ঘাট এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে লঞ্চ ঘাটের পল্টুন। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।ফলে ঝুঁকি নিয়ে ঘোষেরহাট- ঢাকা এবং রাঙাবালি টু বরিশালের লঞ্চে ওঠা-নামা করছেন তারা।
সরেজমিনে গজারিয়া খালগোড়া বাজার থেকে পশ্চিম দিকে লঞ্চ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চ ঘাটের পাশে একটি র্কাগো জাহাজের সঙ্গে (ড্রেজার) রয়েছে। তা দিয়ে পাইপের সাহায্যে আবদুর রহমান ব্যাপারী নামের এক ব্যবসায়ী বালু উত্তোলন করছেন।ঢাকাগামী লঞ্চ যাত্রীরা বলনে, সরকার পল্টুন দিয়েছে, কিন্তু আজ তা অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন আমাদের মত অনেক যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এবিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।লঞ্চে যাতায়াত কারী একাধিক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন,অবৈধ ভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে লঞ্চ ঘাটের রাস্তা এবং পল্টুন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে এতে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা বলনে, আমাদেরকে এখানে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে তাই আমরা কাজ করছি।বালু ব্যবসায়ী আবদুর রহমান ব্যাপারী বালু উত্তোলনের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি এখান থেকে কোনো বালু উত্তোলন করছি না। সেখানে কামাল নামের এক ব্যক্তি বালু উত্তোলন করছেন। তাদের কাছ থেকে ক্রয় করে আমি শুধু ব্যবসা করি।এবিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামসুল আরিফ জানান, নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য কাউকে অনুমোদন দেয়া হয়নি। তারপরেও যদি কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।অবশেষে এ ব্যাপারে কথা হয় ঘাট ইজারাদার ও ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার যুবলীগ নেতা মো:ফিরোজের সাথে তিনি বলেন লালমোহনের কিছু অসাধু ব্যক্তির অবৈধ বালুর ব্যবসার কারণে ঘাট ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে এবং স্হানীয় যারা ঘাটের রাস্তার কাজ করেছেন বিশেষ করে ঠিকাদার তার কাজের মধ্যে ঘাটতি থাকায় বারবার রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে।আমি জানি এতে সরকার অনেক রাজস্ব হারাচ্ছে কিন্তু কি করবো টাকা খরচ করে ইজারা নিয়েছি আর এখন শুধুই লোকসান দিচ্ছি।এই ঘাটে প্রতি মাসে আমার দুই থেকে তিন লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে।পল্টুনের নিচের তলা ছাড়া আর কিছুই এখন অবশিষ্ট নেই সবই নদীর জলে ভেঙে ছিড়ে ভেসে গেছে।বরিশাল এবং ঢাকার প্রধান নদী বন্দরের ডিজি বরাবর অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু এখনও সুরাহা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১০:২৮:১৯   ৪৪৫ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত
ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় চলছে বাগদার রেণু শিকারের মহোৎসব
ড্রেজারে সরকারি জলাশয়ের মাটি খনন ঝুঁকিতে মুজিব কিল্লা
চরফ্যাশনে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
এসএসসিতে বরিশাল বোর্ডে শীর্ষে পিরোজপুর জেলা
ভোলা শহরে নেই কোন গণশৌচাগার ॥ জনগনের ভোগান্তি চরমে
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচনমটরসাইকেল ও উড়োজাহাজ প্রার্থীর গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
বিভাগীয় পর্যায়ে লোক ও উচ্চাঙ্গ নৃত্যে ভোলার মেয়ে অহনার ১ম স্থান অর্জন
মনপুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা ॥ ১ জনের মনোনয়ন বাতিল ॥
এসএসসির ফলাফল জানা যাবে যেভাবে

আর্কাইভ