মোঃ আমজাদ হোসেন ।।ভোলাবাণী।। লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া রাস্তার মাথা সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর শাখা খাল থেকে গত ১৫ ই বৈশাখ গভীর রাতে একই এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তিদের সহায়তায় অসহায় জেলে কামাল মাঝির মাছ ধরার ট্রলার ১২ হর্স ক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন ও দুই পাউন্ড জালসহ চুরি হয়েছে ।কামাল মাঝি চারদিকে হন্যে হয়ে খুঁজেও তার ট্রলারের কোন হদিশ পেলেননা।এ প্রসঙ্গে কামাল মাঝি(৩৭) বলেন মাছ ধরার ট্রলারটি হারিয়ে আমি অর্থাভাবে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছিলাম।একমাত্র আয় রোজগারের মাধ্যমটিকে খুঁজতে জেলার সব জায়গায় গিয়েছি,যে যেখানে যেতে বলেছে সেখানে গিয়েছি তবুও মিলেনি ট্রলার।যখন ট্রলার চুরি হয়েছে তখন নদীতে অনেক ইলিশের ছড়াছড়ি ছিলো।জেলেরা মাছ ধরে আয়ও করেছিল অনেক।সেই ক্ষতি আমি এখনও পুষিয়ে নিতে পারছি না।তখন আমার প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।এরপর আমি আশা ই ছেড়ে দিয়েছিলাম অবশেষে মাস দুয়েক পরে একদিন উক্ত মাছ ধরার ট্রলারের সন্ধান মিলেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ব্যারেট নামক স্হানে সেলিম মাঝি(৪২) এবং শহিদুল দরজি’র(৩৮) কাছে।শহিদুল দরজির পিতার নাম মান্নাফ দরজি,তাদের দুজনের কাছে ট্রলার চুরির বিষয়টি নিয়ে শহিদুল দরজির বসত ঘরে যখন এই প্রতিবেদকের কথা হয় তখন তারা বলেন আমরা শুধুই ট্রলারের বডি ১৫০০০ টাকায় কিনেছি দেবির চরের সাদ্দামের কাছ থেকে।এবার আসলাম সাদ্দামের (২৫) কাছে।বাবার নাম এনামল মাতাব্বর এবং বাড়ি নাম মাতাব্বর বাড়ি।তারা লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ডের কাদিরাবাদ নামক স্হানের বাসিন্দা।
সাদ্দামের কাছে প্রসঙ্গ তুলতেই সে একদমই অস্বীকার করে বসলেন বলেন আমাদের বংশের কেউই মাছ ধরা বা নৌকা ট্রলারের সাথে জড়িত নই।তবে সাদ্দামের বাড়ির পাশের অনেকেই বললেন প্রকৃত ঘটনা।স্হানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায় সাদ্দাম সাধারণ নৌকা বা মাছ ধরার ট্রলার চুরি করেই বেড়ায়।আরও জানা গেলো সাদ্দামদের আরেকটা বাড়ি আছে কচুয়াখালী এবং সিকদারহাট বাজারের মাঝামাঝি স্হানে।সেখানে তার চাচাতো ভাই মতিন(২৩) চোর, পিতা মৃত: সুলতান মাতাব্বর,১ নং ওয়ার্ড পশ্চিম চর উমেদ।জানা গেলো এই মতিনই কামাল মাঝির ট্রলার চুরি করে সাদ্দামকে দিয়েছে আর সে বিক্রি করে দিয়েছে চন্দ্রদ্বীপে।কিছুদিন আগে মতিন দেবির চরের একটি ট্রলার গজারিয়া রাস্তার মাথায় আলমের কাছে বিক্রি করেছে।সেই বিচারও স্হানীয় আ’লীগ নেতা শাহে আলম হাওলাদার করেছেন।এই বিষয়ে সাদ্দাম ও মতিন জানার পর গা ঢাকা দিয়েছে,তাদের মোবাইল নম্বরে বারবার কথা বলার চেষ্টা করলেও মোবাইল বন্ধ রাখার কারণে সম্ভব হয়নি।কামাল মাঝির ক্ষতি হয়েছে দুই লাখ কিন্তু এই প্রতিবেদকের সহায়তায় ট্রলার ক্রেতার কাছ থেকে ১৭০০০ জরিমানা ফিরে পেয়েছে।
জেলে পাড়ার আলম মাঝি, লোকমান মাঝি,জামাল মাঝি,গিয়াস মাঝি এবং সালাউদ্দিন মাঝি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এসব চোরদের কঠোর বিচার না হলে এরা আবারও চুরি করবে তখন আমরা কার কাছে যাবো,কে আমাদের সাহায্যে করবে।
স্হানীয় জেলেদের ভাষ্য মতে তারা শান্তিতে থাকতে চায় পরিবার পরিজন নিয়ে কিন্তু তাদের আয়ের একমাত্র মাধ্যম যাতে আর চুরি না হয় সেজন্য স্হানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান,উপজেলা চেয়ারম্যান এবং থানা পুলিশের সহায়তা চেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩৬:২৫ ২৫১ বার পঠিত |