ভোলার রাজনীতি : ভোলা আ.লীগ সুসংগঠিত ॥ বিএনপি হ-য-ব-র-ল

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ভোলার রাজনীতি : ভোলা আ.লীগ সুসংগঠিত ॥ বিএনপি হ-য-ব-র-ল
বুধবার, ১৯ জুলাই ২০১৭



---শিমুল চৌধুরী ।।ভোলাবাণী।।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের দৌড়ঝাপ শুরু হয়ে গেছে। তারা আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে তদ্বির ও জোর লবিং করছেন বলে জানা গেছে।
ভোলার চার আসনেই আওয়ামী লীগ এখন সু-সংগঠিত। অনেক নিবেদিত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা থাকার পরও ক্ষমতাসীন এ দলটি সাংগঠনিকভাবে অনেক মজবুত।
অপরদিকে দলে পদ-পদবি নিয়ে ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বিএনপি। এতে করে সাংগঠনিকভাবে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়েছে এ দলটি। গত ১৮ ফেব্রুয়ারী জেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি ও সম্পাদকসহ ৫টি পদের নাম ঘোষনা করলেও পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়নি দীর্ঘ ৫ মাসেও। জেলা যুবদল ও ছাত্রদলসহ দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও রয়েছে কোন্দল ও বিশৃঙ্খল। যেন হ-য-ব-র-ল হয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে এ অবস্থা আরো প্রকট আকার ধারন করতে পারে বলেও মনে করছেন দলের তৃনমূল নেতা-কর্মীরা।
আওয়ামী লীগ ঃ
ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম বলেন, এ আসনে তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে ভোলা আওয়ামী লীগ এখন ঐক্যবদ্ধ ও সু-সংগঠিত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোলায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলীয় নেতা-কর্মীরা। আর সেই লক্ষে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের কমিটি গঠন এবং পূর্নগঠনের মাধ্যমে দলকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ১২টি ইউনিয়নেই দলের কমিটি গঠন ও পূনর্গঠনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকি একটি মাত্র ইউনিয়নেও কমিটি গঠনের কাজ সম্পন্ন করা হবে। দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা দলকে সু-সংগঠিত করছি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন উপজেলায় কমিটি গঠন করেছি। দলের হাজার হাজার নারী-পুরুষ নেতা-কর্মীরা ওই সব কমিটিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করেছি। নির্বাচনের জন্য দলের তৃনমূলের নেতা-কর্মীরা এখন প্রস্তুত।
বিএনপি ঃ
গত ১৮ ফেব্রুয়ারী জেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি ও সম্পাদকসহ ৫টি পদের নাম ঘোষনা করলেও পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়নি দীর্ঘ ৫ মাসেও। জেলা যুবদল ও ছাত্রদলসহ দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও পদ নিয়ে রয়েছে একই অবস্থা। কারো নেতৃত্ব নেই মানছেননা। নেই কোন নিয়ন্ত্রন। অনেক এলাকায় বিএনপিকেই নিয়ন্ত্রন করছে যুবদল ও ছাত্রদল। প্রবীন ও নবীন নেতাদের মধ্যে রয়েছে বিস্তর দূরত্ব। পুরো জেলায় দলটি একরম বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে। যেন হ-য-ব-র-ল হয়েছে।
বিএনপি বিশৃঙ্খল হওয়ার কথা স্বীকার করে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাইসুল আলম বলেন, ভোলা বিএনপি আগে অনেক শক্তিশালী ছিল। আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর দল অনেক ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বিএনপি এখন আগের চেয়ে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই এ আসনে বিজেপি নেতা ব্যারিষ্টার আন্দালিব রহমান পার্থই হচ্ছে ২০ দলের যোগ্য নেতা। তাকে মনোনয়ন দেওয়ারও দাবি জানান বিএনপির এ নেতা।
দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান অবশ্য দাবি করছেন, দলে কোন কোন্দল নেই। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হবে। আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীরের নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধ।
বিজেপি ঃ
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের চেয়ারম্যানের মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত হওয়ায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে জোটের অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। সম্প্রতি ঢাকায় ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের এক সভায় ভোলা-১ (সদর) আসনে ২০ দলীয় জোট থেকে বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে দলের মনোনয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এ খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের পর ভোলায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চাঙ্গা ভাব। তারা এখন নতুন করে উজ্জীবিত-উচ্ছ্বসিত। সরগরম হয়ে ওঠেছে দলের কার্যালয়টিও। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোলা শহরের নতুন বাজার চত্বরে বিজেপি কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। দলীয় নেতা-কর্মীরা আগামী নির্বাচন নিয়ে চায়ের টেবিলে ঝড় তুলছেন। সাংগঠনিকভাবেও দল আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী বলেও দাবি দলীয় নেতা-কর্মীদের। অপরদিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়টি অধিকাংশ সময়েই থাকে বন্ধ।
আসনভিত্তিক অবস্থান
ভোলা-১ (সদর) ঃ
ভোলা-১ (সদর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হচ্ছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি এমপি হওয়ার পর বহুবার তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ছাড়াও চষে বেড়িয়েছেন পুরো জেলা। পরিদর্শন করেছেন বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড। তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সু-সংগঠিত। আগামী নির্বাচনেও এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন দলের বর্ষিয়ান এ নেতা।
দলীয় সূুত্র জানায়, স্বাধীনতার পর থেকে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের অভিভাবক হিসেবে পরিচিত তোফায়েল আহমেদ দলকে সু-সংগঠিত করে তৃনমূল পর্যন্ত শক্তিশালী করেছেন। তিনি এ আসনে আওয়ী লীগের মনোনয়ন পেয়ে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলের অপর উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে দলীয় মনোনয়ন দিলেও তিনি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আন্দালিব রহমান পার্থ’র কাছে হেরে যান। পরাজিত হয়ে এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ভোলায় আসা প্রায় বন্ধ করে দেন। ফলে তার সঙ্গে ভোলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের যোগাযোগ একরকম বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তোফায়েল আমমেদ দলীয় মনোনয়ন নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তবে, ফজলুল কাদের মজনু ও মাহবুবুর রহমান হিরণ এবার দল থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন।
এ আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন জোটের অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি ব্যারিষ্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। তার মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীরও দল থেকে মনোনয়ন চাচ্ছেন।
ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন- দৌলতখান) ঃ
ভোলা-২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আলী আজম মুকুল। তার নেতৃত্বে দলের নেতা-কর্মীরা সংগঠিত। এ ছাড়া ড. আশিকুর রহমান শান্ত এ দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে, আওয়ামী লীগের কোন নেতা-কর্মীর সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই বলে মনে করছেন দলের নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, আশিকুর রহমান শান্ত আওয়ামী লীগের কেউ নন। তাই দল থেকে তার মনোনয়নের প্রশ্নই আসেনা। তবে, মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে ড. আশিকুর রহমান শান্ত বলেন, আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। দলের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে নৌকা প্রতীক দেন তাহলে ভোলা আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতারা আমার নির্বাচন করবেন। শান্ত ২০০৮ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোট থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। মাহবুবুর রহমান হিরণও এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন বওে জানান তিনি।
এদিকে আইনগত জটিলতার কারনে ২০ দলীয় জোট থেকে সাবেক এমপি বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিম ২০০৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। একই কারনে আগামী নির্বাচনে তার মনোনয়নে অনিশ্চয়তায় হতাশা বিরাজ করছে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে। এতে করে স্থানীয়ভাবে বহু ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে দলের নেতা-কর্মীরা। এ আসনে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা। আইনী জটিলতার কারনে হাফিজ ইব্রাহিম নির্বাচন করতে না পারলে তার স্ত্রী মাফরোজা সুলতানা ও ছেলে ব্যারিষ্টার মারুফ ইব্রাহিম মনোনয়ন চাইতে পারেন। তবে, উপজেলার সরকারি আব্দুল জব্বার কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি দানিশ চৌধুরীসহ তৃনমূলের অনেক নেতা-কর্মী জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ আসনে বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিম দলের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করেছেন। তাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। হাফিজ ইব্রাহিম ছাড়া অন্য কোন নেতার দৃশ্যমান অবস্থান নেই বলেও জানান তারা। এ ছাড়া এ জোট থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ফুটবলার আমিনুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর এম আলম ও রফিকুল ইসলাম মমিনের নাম শোনা যাচ্ছে।
ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) ঃ
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত লালমোহন ও তজুমদ্দিনবাসী আওয়ামী লীগের এমপি দেখেনি কখনো। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রথম এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মেজর (অব) জসিমউদ্দিন আহমেদ। কিন্তু আইনি জটিলতার কারনে উচ্চ আদালত তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে এ আসনে উপ-নির্বাচনের ঘোষনা দেন। রাজনীতির মাঠে পরিচিতি না থাকলেও আওয়ামী লীগের পক্ষে জোয়ারের সুযোগ নিয়ে ২০১০ সালের ২৪ এপ্রিলের উপ-নির্বাচনে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন দলের মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি নেতা মেজর (অব) হাফিজউদ্দিনকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন। এখন এ দলটি অনেকটাই শক্তিশালী। তবে, সম্প্রতি মৌমাছি বাহিনীসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ায় দলের তৃনমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ দল থেকে সাবেক এমপি মেজর (অব) জসিমউদ্দিন আহমেদও এবার মনোনয়ন চাইবেন। তিনি এলাকায় গন সংযোগও করছেন। দলের অনেক নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
মেজর হাফিজের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সব কমিটিই গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন না করে পকেট কমিটি গঠনের কারনে দলের বহু ত্যাগী নেতা-কর্মী মেজর হাফিজের কাছ থেকে দূরে সরে গেছেন। এক সময়ের বিএনপির নীতি নির্ধারকদের বহু নেতা এখন প্রকাশ্যে তাঁর বিরোধিতা করছেন। এদের মধ্যে দুইজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক পৌর বিএনপির আহবায়কও রয়েছেন। বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে তারা মেজর হাফিজের সাথে চরম বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। মেজর হাফিজ নিজের আত্বীয় দিয়ে পকেট কমিটি করার কারনে হাফিজের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন হাফিজ বিরোধীরা। তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে হাফিজকে বাদ দিয়ে ২০ দলীয় জোট থেকে নতুন একজন বিকল্প শক্ত প্রার্থী দেওয়ারও চিন্তা ভাবনা করছেন। এতে ক্রমেই ইমেজ হারাচ্ছেন মেজর হাফিজ। দলীয় বিরোধ থাকার কারণে ইতিমধ্যে অনেক নেতা-কর্মী দলত্যাগ করে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। ফলে আগের চেয়ে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার বিএনপি। কমিটি গঠননকে কেন্দ্র করে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপি কার্যত দুই টুকরো হয়ে গেছে। এর মধ্যে হাফিজ বিরোধীরা এখন শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। মেজর হাফিজ রয়েছেন বেকায়দায়। তারপরও শেষ পর্যন্ত মেজর হাফিজই দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করছেন দলের নেতা-কর্মীরা। এম আর হাওলাদারও এ দল থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন।
ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) ঃ
ভোলা-৪ আসনে ব্যাপক উন্নয়নের কারনে একরকম অপ্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে ওঠেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য, বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল-ইসলাম জ্যাকব। তিনি এমপি হওয়ার পর ব্যাপক উন্নয়ন করেন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগও আগের চেয়ে অনেক সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী। এবারও তিনি দলের একক প্রার্থী। এ আসনে দল থেকে আর কোন প্রার্থীর নাম শোনা যায়নি।
স্থানীয় নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব নিয়ে দলে বিভক্তি রয়েছে। এ আসনে ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নাজিম উদ্দিন আলম এমপি হওয়ার পর থেকে দলীয় নেতা-কর্মীর সঙ্গে তেমন কোন যোগাযোগ রক্ষা না করায় দলের তৃনমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভ্যন্তরিণ কোন্দলও রয়েছে চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায়। এ দল থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীও রয়েছেন একাধিক। এরা হচ্ছেন সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম, নুরুল ইসলাম নয়ন, লায়ন এম নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মেজর (অব) ফারুক ও এ্যাড: সিদ্দিক উল্যাহ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:০০:৩৫   ১৯১৮ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করা হচ্ছে
ভোলায় মাসব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উদ্বোধন
ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪রাজাপুরে উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারেফ হোসেনের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত
ভোলার গ্যাস উৎপাদন: বাড়তি খরচে কূপ খনন করতে চায় রাশিয়ার গাজপ্রম
ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪৬২২ ফিলিস্তিনি নিহত
মুজিব শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পুরনে একধাপ এগিয়ে মনপুরায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস পর্যটন কেন্দ্রস্থান সচিবের পরিদর্শন ॥
শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন মুফতি মাও: মুজির উদ্দিন
চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকলেও ভোলায় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
লালমোহনে জাগোনারী’র অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

আর্কাইভ