ভোলায় উৎপন্ন ব্যতিক্রমী আলো ফল

প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » ভোলায় উৎপন্ন ব্যতিক্রমী আলো ফল
মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭



---বিশেষ প্রতিবেদক।।ভোলাবাণী।।
ভোলায় কালীবাড়ি রোডের বিল্লাহ মসজিদ সংলগ্ন একটি বাড়িতে কাটিং করা একটি গাছে এ বছর শতাধিক ফল ধরেছে। ফলগুলো দেখতে স্থানীয় ভাষায় ডেউয়া আকৃতির হলেও কিন্তু টক নয়। অতিমিষ্টি ও সুস্বাদু। এর নাম দেয়া হয়েছে আলো ফল। ফলে’র বীজ সংগ্রহ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন অনেকেই। বাড়ির মালিক পক্ষ এ গাছের বিস্তারের জন্য বিনা টাকায় বিভিন্ন জনকে ফল বিতরণ করেন।
ফলটি দেখে অনেকেই মনে করেন এটি ডেউয়া। সাধারনত টক, পোড়া মরিচ দিয়ে মেখে খেতে হয়, ৮ বছর আগে একটি টক ফলের চারাকে কাটিং করে লাগান। তা থেকে গত বছর কয়েকটি ফল ধরে। এবার শতাধিক ফল হয়েছে। ফলগুলো এতটাই মিষ্টি যে, ওই ফল নিয়ে এখন হৈচৈ পড়ে গেছে। বাড়ির মালিক আলো বিকাশ রায়। তার নাম অনুযায়ী ওই ফলের নাম রাখা হয় আলো ফল। ফলগুলোকে অতি যতœ করে পারতে হয়। মাটিতে বা নিচে পড়ে গেলে স্বাদ নষ্ট হয়। গাছ থেকে পারার একদিন পরেই কমলা ও লাল মিশ্রন রং হয়। ভেতরটাও একই। উপরের পাতলা ছাল তুলে নিয়ে খেতে হয়।
ভোলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মাহমুদুল হক আযাদ জানান, তিনি গত বছর ফলটির বীজ সংগ্রহের চেস্টা করে ব্যর্থ হন। এবার প্রথম থেকে মালিক পক্ষের লোকজনদের আগ থেকে জানান দিয়ে ৩টি ফল পেয়েছেন। কিন্তু বাড়ি বয়ে নিয়ে গিয়ে পরিবারের লোকজনদের চাহিদা পূরণ করতে, নিজের স্বাদ অপূর্ন থেকে যায়। তবে ফলটি অতিসুস্বাদু। একই কথা জানান সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্র নাথ মজুমদার। তিনি জানান, তিনি প্রথমে ফলটিকে ডেউয়া ও টক ফল মনে করে গুরুত্ব দেন নি। কিন্তু পরে একাংশ মুখে দিতেই এর স্বাদ পান। এ ফল স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী বলে জানান। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব জানান, ওই ফল খাওয়া নিয়ে তার পরিবারে মা-মেয়ের মধ্যে রীতিমত ঝগড়া হয়। মা ভাগে কম পেয়েছেন। তাই ঝগড়া সামাল দিতে আরো কয়েকটি ফল সংগ্রহ করতে হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহমেদ জানান, তিনি কয়েকদিন আগে একটি ফল থেকে কিছু অংশ খাওয়ার সুযোগ পান। ঈদের ছুটিতে মেয়ে বেড়াতে এলে তাদের জন্য ওই ফল সংগ্রহ করেন। তার পরিবারেও ওই ফল নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। একই কথা জানান জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে। ভোলা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জসিম উদ্দিন আরজু জানান, তিনি গত বছর একটি ফল খাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। এবারও ফল সংগ্রহ করে চারা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন জানান, তিনি তার বাংলোতে ওই ফলের গাছ লাগাবেন। এদিকে গাছটি দেখতে ছুটে আসেন সাংবাদিকরাও। শিমুল চৌধুরী জানান, আগে বুঝেন নি। খেয়ে বুঝা গেছে সত্যি এটি অতিসুস্বাদু ফল। আবিরা নিকেতনে বেড়ে ওঠা ওই ফলগাছ ঘরের সামনে রয়েছে। গোড়াটির চারপাশে সিমেন্ট বাধাঁনো। এ গাছের উদ্ভাবক আলো বাবু জানান, তিনি টক জাতীয় ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করেন। চারা হওয়ার পর নিচের দিকের মুলের কিছু অংশ কেটে ভালো উর্বর মাটিতে রোপন করেন। চারাটি বেড়ে ওঠতে যতœ নেয়া হয়। এখন দেখা যায়, এ ফলের স্বাদ সম্পূর্ন আলাদা। এ ফলটি যারা খাবেন তারা যেন বীজ থেকে চারা সৃস্টি করে তা লাগান। এ কারনে ফল বিনে টাকায় বিতরণ করা হয়। কেননা এরকম ফল গাছ আরো হওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ২১:৪২:১৩   ১১০৬ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

বিশেষ প্রতিবেদন’র আরও খবর


দক্ষিণ আইচায় স্কুল ছাত্র নয়নের রিমোট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত লঞ্চ ভাসছে পানিতে
দেশে অর্ধেকের বেশি নারীর বাল্যবিয়ে হয়’
টাঙ্গাইল শাড়ি চিনবেন কীভাবে
ভোলায় চলছে জাটকা নিধন ॥ ইলিশের উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা
ভোলায় শৈত্যপ্রবাহে হাঁড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপন্ন
ভোলার বন্ধন হেলথ কেয়ার চালু করল অনলাইন নার্সিং হোম সার্ভিস
দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে স্কুল উধাওচরফ্যাশনে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
পরিবারিক ভ্রমণের জন্য ৪ টিপস
তজুমদ্দিনে সরকারি নলকূপ অকেজো, গরমে তীব্রতায় পানি সংকট।
ভোলায় আরো ৫ কূপ খননের পরিকল্পনাদেশর ২৯তম গ্যাস ক্ষেত্রর মর্যাদা পেয়েছে ইলিশা-১ কূপ।

আর্কাইভ