আমজাদ হোসেন, ভোলাবাণী: ভোলার লালমোহনে বিদ্যুৎ’র নতুন লাইন দেবার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক গোষ্ঠী। আর সাধারণ মানুষ নিরুপায় হয়ে এসব প্রতারক গোষ্ঠীর কাছে চাওয়া মাত্রই তাদের সব শেষ করে দিয়ে দিচ্ছে টাকা।
অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবে।
এছাড়াও ভোলা-৩ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি’র স্বপ্ন তার সংসদীয় আসন লালমোহন-তজুমদ্দিনের প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেয়া।
কিন্তু এমপি’র এ স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ নিতে দিচ্ছেনা কিছু অসাধু ব্যক্তি। এরা আ’লীগের ছায়াতলে বসে এমপি’র সুনাম নষ্ট করছে প্রতিনিয়ত। ধিক্কার দিচ্ছে আড়ালে সাধারণ মানুষ। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেবার নাম করে কিছু অসাধু ব্যক্তি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ঘর প্রতি ৫০০ টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আর সাধারণ মানুষ কিছুই না জেনে শুনে প্রতারক ঠিকাদার বা ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আ’লীগ নেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছে টাকা।
এ ব্যপারে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লালমোহন জোনের এজিএম (ওএন্ডএম) মোঃ মুস্তাফিজুর রাহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষে থেকে কোনো ব্যক্তি বা ঠিকাদারকে নতুন লাইন দেবার জন্য ৫০০টাকা করে নিতে বলা হয়নি। বাংলাদেশ সরকার বিনামূল্যে সবাইকে বিদ্যুৎ দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন গ্রাহক বিনামুল্যে বিদ্যুতের সুবিধা পাবার পর জামানত হিসেবে প্রত্যেক গ্রাহককে ৮৫০ টাকা অফিসে জমা দিয়ে রশিদ বুঝে নিতে বলা হয়, রশিদ ছাড়া কোনো আপত্তি গ্রহনযোগ্য নয়। নতুন সংযোগ দেবার পর ঘর ওয়ারিংয়ের কাজ গ্রাহক নিজ খরচে তা মেরামত করবেন।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় কয়েক ধাপে বিদ্যুতের নামে তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন টাকা নিয়েছে।
উল্লেখ্য লালমোহন উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুতের আলো পৌঁছেছে,আরও কয়েকটি গ্রামে নতুন করে বিদ্যুতের লাইন টানা হচ্ছে। উপজেলার গজারিয়া রাস্তার মাথা, কচুয়াখালী এবং ক্রমান্বয়ে মহিশখালী গ্রামে বিদ্যুতের নতুন লাইন দেয়া হচ্ছে আর এই সু্যোগে কিছু সুবিধাবাদী লোক সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
তবে ‘ভোলা পবিস’ কাউকে কোনো প্রকার টাকা দিতে বারণ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২:০৫:৩৪ ৩২০ বার পঠিত |