মিজানুর রহমান নয়ন,চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥
চরফ্যাশন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে আনিত দূর্ণীতি অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত রবিবার উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক(প্রাক প্রাথমিক) ড.নাছিমা বেগম অভিযোগ সমুহ তদন্ত করেন।
জনৈক সাংবাদিক এম মনিরুজ্জামান শহীদ’র অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানাগেছে। ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং চরফ্যাশন উপজেলার সাবেক শিক্ষা অফিসার তদন্ত কালে উপস্থিত ছিলেন।
উত্তর চর মোতাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকসানা আকতার অভিযোগ করেন, মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে সদ্য জাতীয়করণকৃত অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ থেকে তার নাম বাদ দিয়ে তদস্থলে জনৈক এমরান হোসেনকে শিক্ষক দেখিয়ে মন্ত্রনালয়ে কাগজপত্র দাখিল করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম। এবিষয়ে তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার চরফ্যাশন শাখা সভাপতি এম মনিরুজ্জামান শহীদ’র নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং উচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন।
রবিবার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা ড. নাছিমা বেগম জানান-সকল পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়েছে। কাগজপত্রাদি নেয়া হয়েছে। যাচাই বাছাই করে দেখার পর আদালতকে ফলাফল অবহিত করা হবে। সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুস সালাম বলেছেন- রোকসানার নিয়োগ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র আমার অফিসে নেই। আমি যোগদানের আগেই তার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। আমি যোগদানের পর রোকসানার নিয়োগসংক্রান্ত ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে উচ্চ আদালতে মামলা ঠুকে আইনী সুযোগ নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০:০৪:২৮ ২৩৭ বার পঠিত |