নিজস্ব প্রতিবেদক।।ভোলাবাণী।।
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় ১৫ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাইহান আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসিব মাহমুদ স্বাক্ষরিত দৌলতখান উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত কমিটিতে বিবাহিত, অনভিজ্ঞ, বিতর্কিত, রাজনৈতিক নিষ্ক্রিয়, বেশি বয়স, ছাত্রদলের সাবেক কর্মী, সহিংসতা, ভারসাম্যহীন এবং সদ্য স্কুলে পড়ুয়া ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ অভিযোগ পাওয়া গেছে । এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়।
ইতিমধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের ৫ নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। আরো পদত্যাগ করবে বলে গুঞ্জন শোনা যায়।
সদ্য ঘোষিত উপজেলা ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মো: নোয়াব পদত্যাগের মাধ্যমে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। উপ-শিক্ষা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে আমি স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিলাম । ভালো থাকুক আমার আত্মার পরম আত্নীয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এছাড়াও পদত্যাগ করেন, গোলাম রাব্বি, সাগর ইসলাম সোহাগ, মাসুম মুন্না, মো: এ আর শান্ত।সাবেক ছাত্রনেতা মিরাজ, শামীম, বাপ্পি প্রমূখ।
শিশু কমিটি আখ্যা দিয়ে বলেন, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার কমিটি ঘোষণা করার পড় পড়ে-ই পদত্যাগ করার হিড়িক পড়ে গেছে। যোগ্য কর্মীকে যোগ্য পদ না দেওয়া,সিনিয়র জুনিয়র মিল না করা এবং টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে। বিবাহিত, সাবেক ছাত্রদল কর্মী, ভারসাম্যহীন এবং সদ্য স্কুলে পড়ুয়া ছাত্রদেরকে কমিটি তে পদ দেওয়া হয়েছে। আমরা ছাত্রলীগের কমিটিতে জায়গা পাওয়ার জন্য ১৩/১৪ বছর রাজপথে ছিলাম। আর এখন ছোট ভাইয়ারা কত সহজেই উপজেলা ছাত্রলীগে। তাদের বেশির ভাগ অপরিচিত মুখ। ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি পাওয়ার যোগ্যতা তারা রাখে না। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে তাদের বেশিরভাগ এলাকার বাহিরে অবস্থান করেছে।
এদিকে ত্যাগি ও আওয়ামী পরিবারের লোকজন নেই এ কমিটিতে। যাঁরা এমন বিতর্কিত কমিটি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমন হাওলাদার ব্যক্তিগত ফেসবুকে বলেন, ছাত্রলীগের কি কমিটি প্রকাশ করল দুই একজন ছাড়া কাউকে চিনি না। তেল মারতে মারতে আজ নাবালক শিশু ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা। তারা কি পারবে নেতৃত্ব দিতে দৌলতখানে।
সদ্য কমিটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড়। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে পুনরায় ত্যাগি ও প্রকৃত ছাত্রদের এবং সিনিয়র জুনিয়র হিসাব করে কমিটি গঠন করার জন্য আহ্বান করেন স্থানীয় সাবেক নেতারা।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহিত ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আমার অবর্তমানে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২০ থেকে ২৫ জন এলাকার বাহিরে অবস্থান করছে। এছাড়াও অনেককে আমি চিনি না।
এছাড়াও সোস্যাল মিডিয়ায় পদত্যাগ করা মুন্নার শেয়ার করা এক কমেন্টে তিনি আরো বলেন, আমিও অপেক্ষায় আছি। এরা ছাত্রলীগ করতে আসেনি এরা বাটপারি করতে আইছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাইহান জানান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোন অন্যায় প্রশ্রয় দেয় না। প্রকৃত ছাত্র এবং ত্যাগীদের নিয়ে কমিটি গঠন হয়েছে। যাঁরা অন্যায়মূলক ও গঠনতান্ত্রিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৪৭:০০ ১৪০ বার পঠিত |