চরফ্যাশন অফিস, ভোলা বানী\
মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার না করায় বুধবার রাতে চরমাদ্রাজ ৯নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য প্রাথী রফিকুল ইসলাম রুহুল আমিনের বাড়ীতে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী কাদেরের বিরুদ্ধে। এঘটনায় প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রুহুল আমিনের মাসহ ১৫জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত রোকেয়া বেগম, গনি হাওলাদার এবং ইদ্রিছ খাঁ কে বরিশাল পাঠানো হয়েছে। বাকিরা চরফ্যাশন হাসপাতালে এবং স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে হাসপাতাল এবং স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে।
রফিকুল ইসলাম রুহুল আমিন বলেন, প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আবদুল কাদের এবং তার সহযোগীরা আমাকে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের জন্য গত কয়েক দিন যাবৎ চাপ দিয়ে আসছিলেন। (২৪মার্চ) বুধবার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে ব্যার্থ হয়ে রাত সাড়ে ১০টায় চরফ্যাশন বাজারের কলেজ রোডের ব্যবসায়ী আব্বাসের নেতৃত্বে আবদুল কাদেরসহ অর্ধ শতাধিক লোক অস্ত্র নিয়ে আমার বসত ঘরের বিদ্যুতের মিটার ভেঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঘর ভাংচুর করে। হামলাকারীরা আমার ভাইয়ের ৬ মাসের শিশু সন্তান আবির হাসানকে দুরে ছুড়ে ফেলে দেয় । এসময় তার ২ টি ব্যাটারী চালিত রিক্সা এবং নির্বাচনী অফিসও ভাংচুর করেছে।
আহত জান্নাত বলেন, আমাকে এলোপাথারি পিটায় এবং বগি দা’র উল্টো দিক দিয়ে বারি দেয়। আমার পরিধেয় পোষাক ছিড়ে ফেলে।
এলাকা সুত্রে জানাগেছে, বুধবার সকাল থেকেই প্রার্থী কাদের এবং তার সহযোগীরা প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রুহল আমিনের বাড়ীর সামনে মহড়া দিয়েছে । মনোনয়ন প্রত্যাহারে ব্যর্থ হয়ে রাতে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
আবদুল কাদের জানান, রুহুল আমিনের লোকজন আমার লোকদের উপর হামলা করেছে। আমার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে এ অভিযোগ সঠিক নয়।
চরফ্যাশন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া জানান, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৬:১০ ৫৬ বার পঠিত |