মোঃ জসিম জনি: ভোলা বাণী :লালমোহন পৌরসভার গলাকাটা ট্যাক্স নির্ধারণ নিয়ে নাগরিক ক্ষোভ প্রশমিত হয়েছে। বুধবার রাতে এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বাসভবনে পৌরসভার ঘর মালিক ও ব্যবসায়ীদের এমপির সাথে মতবিনিময়কালে মাত্রাতিরিক্ত বর্ধিত ট্যাক্স কমিয়ে নতুনভাবে নির্ধারণের জন্য স্ব স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের দায়ীত্ব দেয়া হয়। মতবিনিময় সভায় ব্যাবসায়ী ও ঘর মালিকরা তাদের ক্ষোভের কথা এমপির সামনে তুলে ধরেন।
ঘর মালিকরা জানান, লালমোহন পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিরাজদ্দৌলা নওয়াব কূটকৌশল চালিয়ে ট্যাক্স আদায়কারী মো: সফিউল্লা মিয়াকে ওএসডি করে নিজেই এ দায়ীত্ব নেন। এরপর তার ইচ্ছামতো ট্যাক্স নির্ধারণ করেন। পৌরসভার যে বাসার ট্যাক্স ছিল ৫০০ টাকার নিচে তা করেন ৫ হাজার টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা। শুধু তা-ই নয়, নওয়াব লালমোহনে ঘরের সংখ্যা নিজেই বাড়িয়ে দিয়েছেন দরজায় দরজায় হোল্ডিং নম্বর ফেলে। যে বাসার দুটি দরজা সে বাসার দুটি হোল্ডিং সৃস্টি করেছেন। এভাবে কারো কারো ৮ থেকে ১০টিও হোল্ডিং করা হয়েছে। অথচ তার নিজের আত্বীয় স্বজনের বেলায় ট্যাক্সের হার বাড়ানো হয়নি। যেসকল এলাকায় সড়কবাতি, ড্রেন ও পয়নিষ্কাসন এর সুবিধা নেই, সেসব এলাকায় ওই সবের উপর ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে। যে সসকল ঘর বা বাসা বাড়ি এখনো নির্মাণাধীন, সে সবের ট্যাক্সও ধরেছেন। নয়াবের নবাবী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও দাগ কেটেছে। লালমোহন মহিলা কলেজের ট্যাক্স ধরেছে ৩ লাখ, লালমোহন হা-মীম একাডেমীর ট্যাক্স ধরেছে ৬ লাখ টাকা। ট্যাক্স ধার্য করে নোটিশ নিয়েও লুকোচুরি করেন তিনি। নিয়মানুযায়ী ১ মাস আগে নোটিশ দেয়ার কথা, কিন্তু নওয়াব কাউকে কোন নোটিশ না দিয়ে তার কার্যক্রম চালিয়ে যান। পরে মানুষের জোড়ালো প্রতিবাদে শেষপর্যন্ত ব্যাকডেট দিয়ে মাত্র ২ দিন আগে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আপত্তি দেয়ার জন্য নোটিশ ছাড়েন।
পৌরসভার ট্যাক্স নিয়ে নওয়াবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকলে শেষ পর্যন্ত এমপি আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বুধবার রাতে সকলকে নিয়ে বসেন। এ সময় সকলে তাদের ক্ষোভের কথা জানান। পরে এমপি শাওন নওয়াবকে এ ধরণের ট্যাক্স ধার্য করায় ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০:১০:১৫ ২০৯ বার পঠিত |