গাজী মো. তাহেরুল আলম।।নাম তার সোহাগ। বাবা মৃত- মো.দুলাল, মাতা-রাশিদা বেগম, বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নে। স্থানীয় মেম্বারের নাম মো. মনছুর।শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী ১৩/১৪ বছরের এ ছেলেটি বহুকষ্টে জড়তাকন্ঠে এভাবেই নিজের পরিচয় তুলে ধরে।
সপ্তাহের সাতদিনই সে ভোলা জেলার মফস্বল বাজারগুলোতে ভিক্ষে করে সংসারের খরচের যোগান দেয়। তার মা দীর্ঘদিন অসুস্থ। ছেলেটির অস্তমিত জীবনের গল্প আরো বড় হতে পারতো, সে অনেক কিছুই বলতে চায়; কিন্তু ঠিকভাবে কথা বলতে পারে না, উচ্চারণে জড়তা…. হাঁটে বাঁকিয়ে, বাঁকিয়ে।
অল্পকথার মধ্যে সোহাগ জানালো, সে প্রতিবন্ধী ভাতা বা, সরকারি কোন ত্রাণ পায়না। প্রশ্ন হলো, এরা যদি সরকারের প্রতিবন্ধী তালিকায় না থাকে,সরকারি বরাদ্দ না পায়; তবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যেমে সরকারের বরাদ্দকৃত কোটি কোটি টাকা কোন দিকে যায়!এরপর প্রশ্ন আসে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কী দায়িত্ব নয় সোহাগের মতো অসহায় প্রতিবন্ধীদের খুঁজে বের করা?
অপরদিকে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যখন প্রতিবন্ধীদের তালিকা করেন তখন এদেরকে বাদ দেন কিভাবে….. দায়িত্বের দায়বদ্ধতা-তো এখানেেই।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৯:১৬ ১২১ বার পঠিত |