চরফ্যাসন(ভোলা)প্রতিনিধি :
চরফ্যাসনের চেয়ারম্যান বাজারে ব্যবসায়ীর দোকান ঘর জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী আবুবক্কর সিদ্দিকগংদের বিরুদ্ধে।
ভূয়া কাগজ তৈরি করে ব্যবসায়ী আবুল কালাম মেম্বারের ৪২ বছরের দখলীয় ঔষধের দোকান ঘর জবর দখলের পায়তারা করেছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ।
শুক্রবার আবুল কালাম মেম্বার অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান বাজারের ৭ একর ৩১ শতাংশ জমির মালিক জনৈক ইস্তর আলী। ১৯৭৯ সনে জনৈক ইস্তর আলীর দখলীয় ওই জমি থেকে ১৬ শতাংশ জমির খরিদ সুত্রে মালিক হন আবুল কালাম মেম্বার। দীর্ঘ ৪২ বছর তিনি দোকান ঘর নির্মাণ করে ভোগদখলে থেকে পপুলার মেডিকেল হল ও বাবুল মেডিকেল হল নামে দুইটি ঔষধের দোকান পরিচলনা করে আসছিলেন। দিয়ারা রেকর্ড চলাকালিন সময়ে তার খরিদা এসএ ২০৩ নং খতিয়ানের ১৬ জমি থেকে ভুলবসত ৩ শতাংশ জমি খাস খতিয়ানে অন্তরভূক্ত হয়। তার এসএ খতিয়ানের খরিদা ওই ৩ শতাংশ জমি খাস খতিয়ানে অন্তরভূক্ত হওয়ার সুযোগে ভূয়া কাগজ সৃজন করে সম্প্রতি সময়ে স্থানীয় প্রভাবশালী আবুবক্কর সিদ্দিক, গোলাম ফারুক এবং আবুল কাশেম তার দখলীয় দোকান ভিটার মালিকানা দাবী করে উচ্ছেদের হুমকি দেন। এবং জবর দখলের চেষ্টা চালান। স্থানীয়দের বাধায় দোকান ঘর জবর দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হন। চলতি বছরের ২১ মার্চ তিনি বাদী হয়ে রেকর্ড সংশোধন ও জবর দখলের চেষ্টাকারী আবুবক্কর সিদ্দিকগংদের আসামী করে আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ওই মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।
তিনি আরোও অভিযোগ করেন, ভূমিদস্যু আবুবক্কর সিদ্দিকগংদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে ধর্ষণ মামলাসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি ধামকি দেন। তাদের মামলার ফাঁসানো হুমকিতে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়না স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। প্রভাবশালী আবুবক্কর সিদ্দিকগংদের অব্যাহত উচ্ছেদের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে তার পরিবার। ৪২ বছরের দখলীয় দোকান ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে অজানা আশংকায় রয়েছেন তিনি।
আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আমাদের কাছে জমির মালিকানার কাগজ আছে, স্থানীয় সালিস আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। আবুল কালাম মেম্বার ভিটা দখলে রেখেছে ।
শশীভূষণ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, দুই গ্রুপ পরস্পর আত্মীয়, এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সুষ্ঠ সমাধানের চেষ্টা চলছে শুনেছি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমরা সচেষ্ট আছি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৫:০৪ ৬৩ বার পঠিত |