চরফ্যাশন অফিস, ভোলা বানী॥
চরফ্যাশনে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি (একক পরিচয়) খুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেঁধে দেয়া সময়ে রক্তের গ্রুপের রিপোর্ট জমা দিতে ডায়গনষ্টিক সেন্টার গুলোতে শিক্ষার্থীদের ভীড় পড়েছে। ফলে করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে কোমলমতি এসব শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজারের মানব সেবা নামক ডায়গনষ্টিক সেন্টারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। রক্তের গ্রুপ নির্নয় করাতে আসা চেয়ারম্যান বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চেয়ারম্যান বাজার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থী জানায়,এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ শিক্ষকরা তাদেরকে আগামী দুই দিনের মধ্যে রক্তের গ্রুপের রিপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জমা না দিলে পরবর্তীতে কাগজ পত্র জমা নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন। তাই করোনা ঝুঁকি জেনেও রক্তের গ্রুপ পরিক্ষার জন্য এই ভীড়ের মধ্যে তারা ডায়গনষ্টিক সেন্টারে এসেছেন। একাধিক শিক্ষার্থী অভিভাবক জানান, করোনা সংক্রমন রোধে সরকার শিক্ষার্থীদের জীবনের কথা চিন্তা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলেও ইউনিক আইডি (একক পরিচয়) খুলতে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঁধে দেয়া ২ দিন সময়ে রক্তের গ্রুপের রিপোর্ট জমা দেয়া নিয়ে তারা বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। মানব সেবা ডায়গনষ্টিক সেন্টারটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কবির হোসেন বলেন, এক সঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী রক্তের গ্রুপ নির্নয়ের জন্য ভীড় করায় স্বাস্থ্য বিধি মানা সম্ভব হচেছ না। হাজারীগঞ্জ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. মামুন হোসেন শিক্ষার্থীদেরকে দুই দিনের সময় বেঁধে দেয়ার বিষয়টি অস্বিকার করেছেন। তবে কত দিনের সময় দিয়েছেন সে প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান তিনি। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার মো. খলিলুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে ৩০ মে পর্যন্ত একাজের জন্য সময় নির্ধারণ করা আছে। প্রয়োজনে সময় আরো বাড়ানো হবে। তিনি আরো জানান, এ উপজেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬৭হাজার ৮০৬জন শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডি (একক পরিচয় পত্র) কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০:৪৭:৪৫ ৫৯ বার পঠিত |