মোঃ ছালাহউদ্দিন,মনপুরা (ভোলা) সংবাদদাতা ॥
ভোলার মনপুরায় ঘূর্ণীঝড় ফণীর প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিচ্ছিন্ন কলাতলি চর, কাজীর চর ও চর নিজামের নি¤œাঞ্চল ফের জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়াও উপজেলার ২১০ একর জমির উপর গড়ে উঠা মাছের ঘেরটি ফণীর প্রভাবে ভেঙ্গে যায়। এতে ওই মাছের ঘেরের মাছ নদীতে চলে যায়।
এদিকে দূর্গত ও পানিবন্ধী এলাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বশির আহমেদের নের্তৃত্বে শুকনো খাবার বিতরন করতে দেখা গেছে।
এছাড়াও ফনী’র প্রভাবে বিচ্ছিন্ন চর নিজাম, কলাতলী, কাজীরচর সহ উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৬ শতাধিক বাড়ি-ঘরের ক্ষতি হয়েছে, ২ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধের আংশিক ক্ষতি সহ ১ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ পুরোপুরি ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ৪ হেক্টর জমির রবিশস্যে ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়।
উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে তথ্য সূত্রে জানা যায়, ১নং মনপুরা ইউনিয়নে সম্পূর্ন ক্ষতি ২৫টি ঘর ও আংশিক ক্ষতি ৪০টি ঘর, হাজিরহাট ইউনিয়নে সম্পূর্ন ক্ষতি ৩০ টি,আংশিক ক্ষতি ২৭৫ টি ঘর, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নে সম্পূর্ন ক্ষতি ২০ টি ঘর, আংশিক ক্ষতি ৫৫ ঘর, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে সম্পূর্ন ক্ষতি ২৯ টি ঘর ও আংশিক ক্ষতি হয়েছে ১৯০ টি ঘর।
পানিবন্ধী, রফিক , শাহে আলম , জাহানারা, শাবানা, আছিয়া সহ অনেকে জানান, আমরা ত্রান চাই না, আমাগোরে বেড়ীবাঁধ নির্মান কইরা দেন। জোয়ার আইলে রাতের বেলায় বাইরে থাকতে হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-২ এর উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মনপুরায় ভাঙ্গা বাঁধ পরিদর্শন করে গেছেন। ভাঙ্গা বেড়ীবাধের কাজ চলছে। দ্রুত বেড়ীবাঁধ নির্মান করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বশির আহমেদ জানান, উপজেলায় আংশিক ক্ষতি হয় ৪৮০ টি ঘরবাড়ির, পুরোপুরি ক্ষতি হয় ১০৪ টি ঘর বাড়ির, ২ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধের আংশিক ক্ষতি, এক কিলোমিটার বেড়ী বাঁধ পুরোপুরি ক্ষতি ও ৪ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। বরাদ্ধ এলে ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্নবাসন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৮:৩৪ ৩০২ বার পঠিত |