টাফ রিপোর্টার:ভোলা বাণী : ভোলায় চাঁদা না দেয়ায় পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাখাওয়াতের নেতৃত্বে জহির আহম্মেদ নামের এক ঠিকাদারের ওপর হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে পৌরসভার ব্রাক অফিস সংলগ্ন ৪ নং ওয়ার্ডের ভক্ত বাড়ির সামনে এ হামলার ঘটে। স্থনীয়রা জহিরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভার্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কাউন্সিলর সহ ৭ জনকে বিবাদী করে ভোলা মডেল থানায় মামলা একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, মেসার্স মোল্লা ট্রেডিং এন্ড কন্ট্রাকটিং সার্ভিসেস গত কয়েক বছর ধরে ভোলা পৌরসভার ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছেন। পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান মনির এ প্রতিষ্ঠানটির কাজের গুণগতমান ভালো বিধায় বেশির ভাগ কাজ প্রতিষ্ঠানটিকে দেন। সেই ধারাবাহিকতায় ভোলা পৌর-উত্তর চরনোয়াবাদের ৪নং ওয়ার্ডের ব্রাক অফিস থেকে গরুরহাট পর্যন্ত কোস্টাল ট্রাস্টের ৩৯৮ মিটির সড়ক প্রায় ৪২ লক্ষ টাকার কাজ প্রতিষ্ঠানটি কে দেওয়া হয়। এই কাজ পাওয়াকে কেন্দ্র করে পৌর ৪ নং ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার মোঃ জহীরের কাছ থেকে কাজ করতে করতে হলে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন বলে অভিযোগ করেন জহির আহম্মেদ। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মঙ্গলবার সকালে সড়ক পরিদর্শন কালে কাউন্সিল সাওখাতের নের্তৃত্বে তাহের, জহীর, মানছুর, সোহেল, সুমন, হেলাল, মাইনুল সহ আরো কয়েকজন স্থানীয় সন্ত্রাসী তাকে চেইন ও রড দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে আহত করেন।
এসময় তার সাথে থাকা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, দের ভরি স্বর্ণের চেইন ও একটি স্যামসান গ্লাক্সি আইফোন ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন ঠিকাদার জহির। আমি মেয়র মহোদয়কে জানিয়েছি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কাউন্সিলর সহ ৭ জনকে বিবাদী করে ভোলা মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, মাত্র ১০ মাস হলো সাখাওয়াত কাউন্সিলর হয়ে এলাকায় তার কথিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রকাশ্য চাঁদাবাজী করে আসছেন। শুধু ঠিকাদার নয় বর্তমানে ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ঘরবাড়ী, পুকুর ভড়াট, জমি বেচা কেনা ও আমাদের মেয়েদের বিবাহ দিলেও সাখাওয়াতকে চাঁদা দিতে হয়। আমরা মেয়র মহোদয়ের কাছে এই চাঁদাবাজ কাউন্সিলর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিচার চাই। তা না হলে আমাদের এলাকা ছাড়তে হবে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
এব্যাপরে অভিযুক্ত কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভোলা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জহিরের কাছে সাখাওয়াত ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না পেয়ে সেই এ হামলা করেছে। এ ঘটনায় প্রশাসনিক ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মেয়র।
ভোলা মডেল থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা মীর খাইরুল কবীর মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৮:১৬ ২২৯ বার পঠিত |