ঘুরে আসুন মালয়েশিয়া

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ঘুরে আসুন মালয়েশিয়া
বুধবার, ১৩ মার্চ ২০১৯



---ডেস্ক রিপোর্ট।। যদি কোন দেশকে বৈচিত্র্যতার জন্য পুরস্কৃত করা হয় তাহলে মালয়েশিয়া হবে অন্যতম। শুধুমাত্র জাতিগত সংস্কৃতির জন্যই নয় এই দেশটির আছে বিভিন্ন রীতিনীতি, বিভিন্ন ধরণের রন্ধনপ্রণালী এবং বিভিন্ন ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। দ্বীপের সারি, পাহাড়-পর্বত, উর্বর উচ্চভূমি ও ট্রপিক্যাল রেইন ফরেস্ট এই সব বৈচিত্র্য নিয়ে মালয়েশিয়া গঠিত। মালয়েশিয়ার অনন্যতার আরেকটি দিক হচ্ছে এই দেশটি প্রধান দুটি স্থলভূমি- পশ্চিম ও পূর্ব মালয়েশিয়ায় বিভক্ত। প্রায় ৪০ মাইল দীর্ঘ সমুদ্র পৃথক করে রেখেছে দেশটির এই দুটি অংশকে। মালয়েশিয়া ভ্রমণের উল্লেখযোগ্য আকর্ষণীয় স্থানগুলো সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।

১। গুনাংমুলো ন্যাশনাল পার্ক :

অসাধারণ চুনাপাথরের গঠন ও বিস্ময়কর গুহার জন্য বিখ্যাত এই পার্কটি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে আতঙ্ককর প্রাকৃতিক আকর্ষণীয় স্থান গুনাংমুলো ন্যাশনাল পার্ক। পৃথিবীর সবচাইতে বৃহৎ ও দীর্ঘ গুহার সিস্টেম গুনাংমুলো ন্যাশনাল পার্কে দেখা যায়। এটি মালয়েশিয়ার বোর্ণিওর সারাওয়াক রাজ্যে অবস্থিত। এই গুহার মধ্যে সবচেয়ে বড় গুহাটির নাম সারাওয়াক চেম্বার যার ভেতরে ৪০টি বোয়িং ৭৪৭ বিমান রাখা যায় বলে অনুমান করা হয়।
২। লংকাউই :

এটি মালয়েশিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলে আন্দামান সাগরে অবস্থিত। ৯৯টি দ্বীপ নিয়ে লংকাউই দ্বীপপুঞ্জ গঠিত। এখানে আছে ছবির মত সুন্দর সৈকত, ম্যানগ্রোব ফরেস্ট ও পর্বতমালা। সম্প্রতি এখানে পর্যটকদের জন্য অনেক রিসোর্ট, হোটেল, রেস্ট্রুরেন্ট ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্বীপমালার ব্যাতিক্রমি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য এখানে পর্যটকরা ভীড় করেন।

৩। পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার :

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মালয়েশিয়ার শহুরে স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার। এখনো এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ জমজ ভবন। ভূমি থেকে ৪৫০ মিটার দীর্ঘ এই টাওয়ারে ৮৮ তলা আছে যেখানে বিভিন্ন অফিস আছে। এই টাওয়ারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর ডাবল ডেকার ব্রীজ যা টাওয়ারের ৪১ ও ৪২ তলাকে যুক্ত করেছে। এই ব্রীজ থেকে পুরু শহরের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করা যায়। রাতের টুইন টাওয়ারের সৌন্দর্য দিনের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা।
৪। তামান নেগারা :

পশ্চিম মালয়েশিয়ার উত্তরাংশের তিনটি রাজ্য জুড়ে তামান নেগারা অবস্থিত যা বিশ্বের প্রাচীনতম রেইন ফরেস্ট। তামান নেগারা ইকোট্যুরিজম ও দুঃসাহসিক গন্তব্য হিসেবে জনপ্রিয়। এই পার্কটি মালয়ান টাইগার, এশিয়ান হাতি ও সুমাত্রার গন্ডারের মত দুর্লভ প্রজাতির প্রাণী ও গাছপালায় পরিপূর্ণ। এই পার্কের আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে দীর্ঘ সাসপ্যানশন ব্রীজের উপর দিয়ে চাঁদের আলোয় হাঁটা। প্রায় গাছের উপর দিয়ে গেছে এই ব্রীজ যার ফলে পাখিদের আবাস দেখা যায় এখান থেকে। রাতের সাফারির ব্যবস্থা আছে এখানে। ফলে পেঁচা, চিতা বিড়াল ও ওয়াটার ড্রাগনের মত নিশাচর প্রাণী এবং শুধুমাত্র রাতে প্রস্ফুটিত হয় এমন উদ্ভিদ দেখারও সুযোগ আছে এখানে।

এছাড়াও কোয়ালালামপুর, পেনাং, কুচিং, কোটা কিনাবালু, ক্যামেরন হাইল্যান্ড, ম্যালাকা, কোটা ভারু ইত্যাদি স্থানগুলো মালয়েশিয়ার উল্লেখযোগ্য স্থান। বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষের অবস্থানের জন্য মালয়েশিয়ার খাবার ও বেশ বৈচিত্র্যময়। মালয়, চাইনিজ, ভারতীয়, মধ্যপ্রাচ্য ও থাইল্যান্ডের খাবারও পাওয়া যায় এখানে। পথের পাশের খাবারের দোকানে খুব কম দামে খাবার পাওয়া যায়। এক ঋতুর দেশ বলে পরিচিত মালয়েশিয়ায় শুধু জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে হালকা ঠান্ডা পড়ে। মালয়েশিয়াতে প্রচুর বৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ সময়: ৭:৩৮:২২   ৩৪৩ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে মানুষের ঢল বোরহানউদ্দিনে এমপি মুকুলকে সংবর্ধনা
চতুর্থ বারের মত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়ায়লালমোহনে নুরুন্নবী চেীধুরী শাওনকে নাগরিক সংবর্ধনা
বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বিশ্ব : ইইউ
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনছোট ছোট দল নিয়ে জমে উঠছে নির্বাচন
বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজউইলিয়ামসনের সেঞ্চুরির পরও নড়বড়ে নিউজিল্যান্ড
মনপুরায় বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
ভোলায় অবরোধের সমর্থনে বিএনপির মশাল মিছিল।
ভোলায় জেলা বিএনপির মশাল মিছিল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা বৃহস্পতিবার
লালমোহনে ‘বোমা বানাতে গিয়ে’ বিস্ফোরণে নিহত ১

আর্কাইভ