ভোলাবাণী ডেক্স:: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কোনো আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কার সঙ্গে আলোচনা? কীসের প্রস্তাব। একবার প্রস্তাব দিতে গিয়ে যে ঝাড়ি খেলাম, আর প্রস্তাব দেওয়ার ইচ্ছে নেই।
৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কম্বোডিয়া সফর সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা? জানতে চাইলে শেখ হাসিনা আরও বলেন, আর যাই হোক আমি প্রধানমন্ত্রী। তার ছেলে মারা গেল, আমি গেলাম। কিন্তু আমাকে ঢুকতে দেওয়া হলো না। এত ছোটলোকিপনা যারা করে, তাদের সঙ্গে কীসের আলোচনা?
আগাম নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, পার্লামেন্ট চাইলে যে কোনো সময় নির্বাচন দিতে পারে। কিন্তু এখনই নির্বাচন দেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, পার্লামেন্টরি সিস্টেমে (সংসদীয় ব্যবস্থা) যেকোনো সময় কিন্তু ইলেকশন হয়। তবে আমরা এমন কোনোও দৈন্যদশা বা সমস্যায় পড়িনি যে আগাম ইলেকশন দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি তাতে অংশগ্রহণ করবে কিনা সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। সাধাসাধির কিছু নেই।
দেশের মানুষকে উন্নয়ন চাইলে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে গেলে সময় দরকার। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে যে উন্নয়ন কাজ করেছি, তা আর কেউ করেনি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে আওয়ামী লীগকে দরকার।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা? জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার সঙ্গে আলোচনা? কীসের প্রস্তাব। একবার প্রস্তাব দিতে গিয়ে যে ঝাড়ি খেলাম, আর প্রস্তাব দেওয়ার ইচ্ছে নেই।
তিনি বলেন, আর যাই হোক আমি প্রধানমন্ত্রী। তার ছেলে মারা গেল, আমি গেলাম। কিন্তু আমাকে ঢুকতে দেওয়া হলো না।
শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি কেন ক্ষমা চাইব? বরং বিভিন্ন ইস্যুতে দেশবাসীর কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।
আদালতে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, সরকার প্রতিহিংসামূলক হয়ে তার পরিবারের সঙ্গে বৈরী আচরণ করেছে কিন্তু তিনি শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। বক্তব্যটি শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এক সাংবাদিক জানান, সম্প্রতি সৌদি আরবে টাকা পাচারে খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এক্ষেত্রে সরকার কী তাকে ক্ষমা করবে? উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কী কোনো অপরাধ করেছি। আমি কেন ক্ষমা চাইব। বরং দেশবাসীর কাছে ওনার ক্ষমা চাওয়া উচিত।
তিনি জানান, তার সরকার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি।
এ সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে আমরা সমর্থন পাচ্ছি। আসিয়ান চায় রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরে যাক।
জেরুজালেমকে ইসরায়েললের রাজধানী ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প, একতরফাভাবে এমন ঘোষণা মেনে নেওয়া যায় না বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন ঘোষণা ইসলামিক ওয়ার্ল্ডে কারও কাছে গ্রহণযোগ্য না। এক্ষেত্রে জাতিসংঘের রেজুলেশন রয়েছে। রেজুলেশন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কিন্তু জাতিসংঘের রেজুলেশন অগ্রাহ্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
একতরফাভাবে কিছু করা মানে অশান্তি সৃষ্টি করা মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ফিলিস্তিনের অধিকার আদায়ে মুসলিম বিশ্বের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার ক্ষমতা দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৭:৩০ ২৭৪ বার পঠিত |