ইয়াছিনুল ঈমন ।।ভোলাবাণী।। ভোলা প্রতিনিধি। ভোলা সদর উপজেলার ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নে দশম শ্রেণীর ছাত্রী জেলা প্রশাসক ও সুপার এর বরাবর আবেদন করে নিজের বাল্যবিবাহ ঠেকিয়ে দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিরা, বাল্য বিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির লোকজন উপস্থিত হলে মেয়ের বাবা-মা ও বর বিবাহস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
সূত্রে জানা যায় ভোলার ২নং পূর্ব-ইলিশা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইলিশা বাঘার হাওলা নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী রেশমা বেগম এর সাথে তার নিকটত্মীয় সাথে গতকাল দুপুরে বিবাহ হওয়ার কথা ছিল। এ উপলক্ষে রেশমা পিতা মোঃ বাবুল মিস্ত্রি ও মা রোকেয়া বেগম ঘরে বিয়ের আয়োজন করে। রেশমা এ বিয়েতে রাজি না হয়ে মাদ্রাসায় এসে সুপার মাওলানা মহিবুল্যাহ ও জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন বরাবর আবেদন করেন। সুপার বিষয়টি ‘বাল্য বিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি’র সাধারন সম্পাদক এম শাহরিয়ার জিলনকে জানান।
পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসক, ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত), সদর থানার ওসি ও বাল্য বিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতিকে জানানো হয়। পরে ইউএনও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কামাল হোসেন ও সচিবকে জানান। পরে ইউপি সদস্য ‘বাল্য বিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি’র নেতৃবৃন্দকে নিয়ে রেশমার বাড়ীতে গেলে পিতা মোঃ বাবুল মিস্ত্রি ও মা রোকেয়া বেগম ঘর ছেরে পালিয়ে যায়। পরে ইউপি সদস্য তাদেরকে ডেকে এনে এই বিয়ে বন্ধ করেন।
রেশমার মা রোকেয়া বেগম বলেন, আমি আমার ভূল বুঝতে পেরেছি। আমার মেয়েকে আর বাল্য বিয়ে দিবো না। তাকে পড়ালেখা করিয়ে উপযুক্ত বয়সে বিয়ে দিব।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩৭:৪৬ ১৪৫ বার পঠিত |