মনপুরার মেঘনায় ইলিশ ধরার অপেক্ষা ২০ সহ¯্রাধিক জেলের

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মনপুরার মেঘনায় ইলিশ ধরার অপেক্ষা ২০ সহ¯্রাধিক জেলের
শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০১৭



মনপুরায় অবরোধে জালবুনে ও ট্রলার মেরামত করে অলস সময় পার করছেন জেলেরা।

মোঃ ছালাহউদ্দিন ।।ভোলাবাণী।। মনপুরা সংবাদদাতা॥ ভোলার মনপুরার মেঘনায় ইলিশ ধরার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন ২০ সহ¯্রাধিক জেলে। দীর্ঘ ২২ দিন পর আবার পুর্নোদ্যমে মাছ ধরবেন এমন আশাই জাল বুনছেন ও ট্রলার মেরামতের কাজ করছেন জেলেরা। বর্তমানে তারা জাল বুনে অলস সময় পার করছেন। অবরোধে নেই জেলেদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা।
মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ইলিশের প্রজনন মৌসুম চিহ্নিত করে ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোতে মাছ শিকার, মাছ আহরন, বাজারজাতকরন, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে । জেলেদের একমাত্র পেশা মাছ ধরতে না পারায় উপজেলার প্রায় ২০ সহ¯্রাধিক জেলে বেকার হয়ে পড়ছে। বর্তমানে নদীতে যেতে না পারায় বেড়ীবাঁধ, রাস্তার পাড় কিংবা নদীর কিনারায় বসে জাল বুনে অলস সময় পার করছেন তারা। নদীতে মাছ ধরতে না পেরে বহু জেলে পরিবারে বর্তমানে বাজছে অভাবের করুন সুর।
মাছ ধরার এই নিষিদ্ধ সময়ে অনেকে অতি উৎসাহ দেখিয়ে নদীতে মাছ ধরতে গেলেও বেশীরভাগ জেলেই সরকারের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যাচ্ছেনা। যারা অবরোধের সময়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাছ ধরতে যায় তাদের অনেকেই ভ্রাম্যমান আদালতের কবলে পড়ে জাল, ট্রলার, মাছ হারাচ্ছে। আবার অনেকের জেল ও জরিমানা দুটোই হচ্ছে। তবে অসাধু এই জেলেদের বেশীরভাগই প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিয়ে মাছ ধরছে। এজন্য যারা মাছ ধরতে যায়না তাদের মধ্যে ক্ষোভের কমতি নেই।

 

জাল বুনে অলস সময় পার ॥ অবরোধে নেই পর্যাপ্ত পুর্নবাসনের ব্যবস্থা

জেলেরা বলছেন, আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নদীতে মাছ ধরতে যাইনা। কিন্তু এই অবরোধের সময় জেলেদের কোন পুর্নবাসনের ব্যাবস্থা করেনি সরকার। আমরা আয় রোজকার না করলে ছেলে-মেয়েদের কিভাবে খাওয়াবো। বসে বসে আমরা আবার দায় দেনার ফাদে পড়ছি। আবার কোন জেলে বলছেন, কে মাছ ধরলো আর কে ধরলোনা আমরা তা দেখিনা। সরকার একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন মাছ না ধরার জন্য আমরা সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নদীতে যাচ্ছিনা। বর্তমান ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সহযোগীতা না থাকায় অভাবী বহু জেলে পরিবারে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা ব্যাস্ত সময় পর করছেন জাল বুনে ও ট্রলার মেরামতের কাজে। সে ২২দিন তারা মেঘনায় মাছ ধরতে পারেনি সেই সময় তারা তাদের জাল ও ট্রলার কাজে ব্যায় করছেন। চরযতিন গ্রামের ইব্রাহীম মাঝি,মোছলেউদ্দিন মাঝি,মাইনুউদ্দিন মাঝি বলেন, অবরোধের সময় সরকার যদি জেলেদের একটি কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করত তাহলে জেলে পরিবারগুলোর ছেলেমেয়েরা একটু ভালো থাকত। আমরা আর দায় দেনা করতে হতোনা। অনেক জেলে খুব গরিব। কাজ না করলে সংসার চালানো খুব কষ্ঠ হয়।
এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার বলেন, ২২দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলেও আমরা এখন পর্যন্ত জেলেদের পুর্নবাসনের জন্য কোন অর্থ বরাদ্ধ পায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪৪:৫৯   ১৬১ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪মনপুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৫ জন ॥ মোট প্রার্থী ১১ জন
তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়ে ১৩ দোকান ছাই পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি ॥
এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
এ কে ফজলুল হককে কেন ‘শেরে বাংলা’ বলা হয়?
জাতীয় পর্যায়ের লোকনৃত্য প্রতিযোগীতায় ভোলার মেয়ে স্বস্তিকার ২য় স্থান অর্জন
ভোলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
চরফ্যাসনে হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
ভোলায় তীব্র প্রবাহে অস্থির জনজীবন
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর বিলুপ্তির পথে ॥
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন ২০২৪আপনাদের পবিত্র ভোট ৫ বছরের জন্য ভাল পাত্রে জমা রাখবেন-মোহাম্মদ ইউনুছ

আর্কাইভ