মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে তুরস্কের সঙ্গে আগ্রহী বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে তুরস্কের সঙ্গে আগ্রহী বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট ২০১৭



---।।ভোলাবাণী ডেক্স ।। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, তুরস্কের সাথে চলমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরো বৃদ্ধির জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এ বিষয়ে তুরস্কের সাথে প্রথম পর্যায়ের আলাপ আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা কিছুদিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘তুরস্ক ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যকার এক ব্যবসায়িক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ওই সভার আয়োজন করে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য না হওয়ায় সেখানে বাংলাদেশ শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পায়না। দেশটিতে উচ্চ শুল্কের কারণে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া তুর্কি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের কয়েকটি খাতে সরাসরি বিনিয়োগেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে তার্কিস এক্সপোর্টার্স অ্যাসেম্বলির মেম্বার অব সেক্টর কাউন্সিল বাইরাক বাসারান বলেন, অনেকদিন ধরে উভয় দেশের এফটিএ নিয়ে আলোচনা চলছে। আশা করছি এটি দ্রুত হবে। এফটিএ হলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উভয় দেশই লাভবান হবে। এ সময় তিনি বলেন, কেবল রপ্তানি বাড়ানোই লক্ষ্য নয়, বরং উভয় দেশের যাতে বাণিজ্য বাড়ে সেটিই তাদের লক্ষ্য।

বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাংলাদেশের অনুকূলে। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ তুরস্কে রপ্তানি করেছে ৬৩ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলারের। আর আমদানি করেছে ২১ কোটি ২৩ লাখ ডলার। অর্থাত্ আমদানির চাইতে প্রায় ৪২ কোটি ডলারের পণ্য ও সেবা বেশি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ওষুধ, হিমায়িত মাছ, শুকনা খাবার, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া, প্লাস্টিক পণ্য, সিরামিক পণ্য, সমুদ্রগামী জাহাজ, হালকা প্রকৌশল পণ্যে চাহিদা রয়েছে তুরস্কে। কিন্তু উচ্চ শুল্কহারের কারণে আশানুরূপ পণ্য তুরস্কের বাজারে রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তুরস্কের সাথে মুক্ত বানিজ্য চুক্তি হলে বাংলাদেশ তুরস্কের কাছে এ বাণিজ্য সুবিধা পাবে। তখন তুরস্কে রপ্তানি বাড়বে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন তুরস্ককে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে বিদ্যমান বাড়িয়ে ৫ কোটি ডলারে উন্নীত করতে এফটিএতে গুরুত্ব দেন।

ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত দেভরিম ওজতুর্কও দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ’র আলোচনা চলছে বলে জানান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আসছে। তবে সম্প্রতিক ঘটনায় ব্যবসা ও দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব পড়েনি বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৩:১৮   ২০৪ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করা হচ্ছে
ভোলায় মাসব্যাপী সাঁতার প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উদ্বোধন
ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৪রাজাপুরে উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারেফ হোসেনের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত
ভোলার গ্যাস উৎপাদন: বাড়তি খরচে কূপ খনন করতে চায় রাশিয়ার গাজপ্রম
ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪৬২২ ফিলিস্তিনি নিহত
মুজিব শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পুরনে একধাপ এগিয়ে মনপুরায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস পর্যটন কেন্দ্রস্থান সচিবের পরিদর্শন ॥
শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন মুফতি মাও: মুজির উদ্দিন
চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকলেও ভোলায় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
লালমোহনে জাগোনারী’র অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

আর্কাইভ