উদ্ভোধনের অপেক্ষায় বাঘমারা সেতু

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » উদ্ভোধনের অপেক্ষায় বাঘমারা সেতু
সোমবার, ১২ জুন ২০১৭



---

।।ভোলাবাণী।। এম শরীফ আহমেদভোলা ও পটুয়াখালী জেলার সংযোগকারী বাঘমারা নদীর ওপর প্রায় দেড় হাজার ফুট দীর্ঘ ভোলাবাসীর স্বপ্নের বাঘমারা সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী, দক্ষিণ দিঘলদী, চর সামাইয়া, ভেদুরিয়া ও ভেলুমিয়া ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ছিল বাঘমারা খেয়ার স্থানে বাঘমারা সেতু স্থাপনের।

ভোলার বাংলাবাজার-বাঘমারা-শরীফখা-ভেলুমিয়া-ব্যাংকেরহাট সড়কটি অপরিপূর্ণ ছিল একটি মাত্র সেতুর জন্য। এ ছাড়া ভোলা ও পটুয়াখালী জেলার সঙ্গে সেতুবন্ধনের বাধা ছিল বাঘমারা সেতু। এ সেতু পার হয়ে মাত্র এক ঘণ্টায় ভোলা থেকে পটুয়াখালী যাতায়াত করা যায়।

জানা যায়, ২০১০ সালে ভোলা সদর আসনের সংসদ সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ সেতু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। ২০১২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বৃহত্তর বরিশাল জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সেতুটি অনুমোদন করা হয়।

ভোলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, ৪৪০ মিটার (১৪৪৫ ফুট) দীর্ঘ ও সাত মিটার (২৩ ফুট) প্রস্থর এই প্রি-স্ট্রেচ গার্ডার সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪২ কোটি টাকা। সেতুর পূর্ব পাশে রয়েছে ১২০ মিটার আর পশ্চিম পাশে রয়েছে ৩৬০ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক।

তিনি জানান, কয়েক মাস আগে ভোলাবাসীর স্বপ্নের বাঘমারা সেতু নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে। ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড সেতুটি নির্মাণ করেছে। তিনি জানান, এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী এবং ভোলা ১ আসনের সংসদ সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সময় দিলেই আনুষ্ঠানিকভাবে ভোলাবাসীর স্বপ্নের বাঘমারা সেতু উদ্বোধন করা হবে।

সরেজমিনে সেতুর ওপর গিয়ে মানুষের উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। প্রতিদিন বিকেলে হাজার হাজার মানুষ এ ব্রিজে আসে। স্থানীয়দের কাছে ব্রিজটি একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি হয়ে উঠেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ রাকিক (২২), আশিক চন্দ্র (৫০), মারজিনা বেগম (২৪) জানান, এ সেতু এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে সহজ হয়েছে। এখানকার শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ হওয়ার কারণে তারা এখন ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে পারছে।

পটুয়াখালীর কালাইয়ার বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম জানান, পটুয়াখালী জেলার অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ ভোলা জেলায় বসবাস ও চাকরি করছেন। একটি সেতু তাদের যাতায়াতে অন্তত দুই ঘণ্টা সময় বাঁচিয়ে দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৪৯:০০   ৯৪৫ বার পঠিত  |




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ২৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪৬২২ ফিলিস্তিনি নিহত
মুজিব শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পুরনে একধাপ এগিয়ে মনপুরায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস পর্যটন কেন্দ্রস্থান সচিবের পরিদর্শন ॥
শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন মুফতি মাও: মুজির উদ্দিন
চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকলেও ভোলায় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
লালমোহনে জাগোনারী’র অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর ভোলায় মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে নামবেন জেলেরা
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে আরও ইউরোপীয় দেশ
তজুমদ্দিনে ৮৫৬টি গাছ কেটে রাস্তা চওড়া করার প্রস্তুতি সম্পন্ন ,স্থানীয়দের ক্ষোভ
ভোলায় ডিবির অভিযানে অস্ত্রসহ ৩ দস্যু আটক, অপহৃতরা উদ্ধার

আর্কাইভ