।।ভোলাবাণী।। ভোলায় এফসিপিএস পাশ না করেও পদবি ব্যবহার করার দায়ে আজ শুক্রবার এক চিকিৎককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও একটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারকে এক লাক টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মান্নান অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
অভিযুক্ত চিকিৎসক মো. সাইদুর রহমান মিলন কুড়িগ্রাম জেলায় সরকারি হাসপাতালে কর্মরত থাকলেও আজ শুক্রবার ভোলা ইসলামীয়া ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন। তিনি নিজেকে গ্যাস্ট্রোলজার ও এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন করার পদবি নাম ফলক ও প্যাড ব্যবহার করেন। অপরদিকে, গত বুধবার চিকিৎসক মিলনের বন্ধু ডা. মারুফ ঢাকা থেকে ভোলায় বেড়াতে এসে একই চেম্বারে একই প্যাড ব্যবহার করে রোগী দেখেন। এভাবে তারা প্রতারণা করে সেবার নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন রোগীদের কাছ থেকে।
এদিকে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে সেবা দেওয়ার দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ২০০৯ সালের ৪৪ ধারায় ইসলামীয়া ডায়াগনোস্টিক সেন্টারকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল ২০১০ সালের আইনের ২৯/১ ও ২৯/২ ধারায় চিকিৎসক মো. সাইদুর রহমান মিলনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মান্নান জানান, অভিযুক্ত চিকিৎসক ও প্রতিষ্ঠান প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। অভিযানকালে ডা. মারুফ পলাতক ছিলেন। এভাবেই তারা সাধারণ মানুষ ও রোগীদের সেবার নামে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। এ অভিযানে আরো ছিলেন, ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু, এসআই রফিকুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল। এ ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে
বাংলাদেশ সময়: ১১:২৫:৫৭ ৮৩৬ বার পঠিত |